শীতে সর্দি-কাশি রোধে ঘরোয়া প্রতিকার । প্রস্তুত থাকুন এই শীতে
প্রতি বছর শীত এলেই এক কমন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় কম বেশি সকলেরই। শীতকালে ঠাণ্ডা-কাশি খুবই সাধারণ একটি সমস্যা। বাড়িতে ছোট শিশু থাকলে তো এই সমস্যা একেবারেই সাধারণ । সব সময় তো আর ডাক্তারের কাছে যাওয়া সম্ভব নয়। তাই আজ আমরা জানবো ওষুধের উপর নির্ভর না করে কিছু ঘরোয়া উপায়ে কীভাবে এই সমস্যার সমাধান করা সম্ভব।
এখানে আসুন দেখে নিই সেই কয়েকটি কার্যকরী ঘরোয়া প্রতিকার :
১. বাষ্প গ্রহণ বা ভেপার নেওয়া :
একটি পাত্রে গরম জল নিয়ে তার থেকে বাষ্প গ্রহণ করুন। এর মধ্যে যদি সম্ভব হয় তবে ইউক্যালিপটাস তেল যোগ করলে আরও ভালো ফল পাওয়া যায়। এটি নাক বন্ধের সমস্যা দূর করে এবং শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক করে। এখন ভেপার নেবার সহজলভ্য মেশিনও অনলাইনে কিনে নিতে পারেন। এটি খুব সাধারণ অথচ ভীষণ কার্যকরী একটি ঘরোয়া টিপস।
২. তুলসী পাতা এবং গোলমরিচের চা :
আদ্দি কাল থেকে সকলেই জানেন যে তুলসীপাতার কী গুনাগুন। তুলসী পাতা ও গোলমরিচ দিয়ে তৈরি চা ঠাণ্ডা-কাশির জন্য খুবই উপকারী। এটি শ্লেষ্মা কমিয়ে আরাম দেয়। অলসতা ত্যাগ করে এটা করে দেখুন তো একবার।
৩. লবন-জলের গার্গল :
ডাক্তারের প্রয়োজন নেই যে কেউই জানেন লবন জলের গার্গলের কথা। হালকা গরম জলে লবণ মিশিয়ে গার্গল করলে গলা ব্যথা কমে এবং সর্দি পরিষ্কার হয়। এটি ঠাণ্ডা-কাশির জন্য একটি প্রাচীন ও পরীক্ষিত পদ্ধতি। অতি সহজ অথচ কার্যকর উপায়।
Read More : খেজুরের উপকারিতা ও অপকারিতা । Health Benefits of Dates
৪. গরম পানীয় পান করুন :
গরম কফি, গরম জল, আদা-লেবুর চা বা তুলসী পাতা দিয়ে তৈরি ভেষজ চা ঠাণ্ডা-কাশি দূর করতে সাহায্য করে। এটি গলা পরিষ্কার করে এবং সর্দি থেকে মুক্তি দেয়। ঘুরিয়ে ফিরিয়ে এই পদ্ধতিগুলি ব্যবহার করুন অবশ্যই ফল পাবেন।
৫. রসুন ও মধুর মিশ্রণ :
কাশির প্রতিষেধক হিসেবে রসুনের নাম এসে যায়। রসুনের গুঁড়ো মধুর সঙ্গে মিশিয়ে খেলে ঠাণ্ডা-কাশি দ্রুত সেরে যায়। রসুনে থাকা অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। শীতের মধ্যে আরামে থাকতে হলে এটা প্রয়োগ করতেই পারেন।
৬. মধু এবং আদার মিশ্রণ :
মা মাসিরা বলে থাকেন এই পদ্ধতির কথা। আদার রস ও মধু মিশিয়ে দিনে ২-৩ বার খেলে গলার ব্যথা কমে এবং কাশি নিয়ন্ত্রণে থাকে। এটি প্রাকৃতিক অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল হিসেবে কাজ করে।
৭. প্রচুর জল পান করুন :
অনেকেই জানেন না শীতকালে শরীরে জলের ঘাটতি হলে সর্দি-কাশি বেড়ে যায়। শীতকালে বাতাস থাকে শুষ্ক তাই শরীর থেকে জলে কমে বাতাসে মিশতে থাকে। চর্ম যেমন শুষ্ক হয়ে যায় তেমনি গলার নরম অংশের মিউকাস জাতীয় স্থানগুলি শুকিয়ে কাশির সৃষ্টি করে থাকে। তাই নিয়মিত পর্যাপ্ত জল পান করলে কাশির হাত থেকে অনেক রেহাই পাওয়া যায়। । এই সহজ ঘরোয়া প্রতিকারগুলো নিয়মিত মেনে চললে সর্দি-কাশি থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। তবে মনে রাখবেন সমস্যা দীর্ঘস্থায়ী হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে ভুলবেন না।
আশা করি বন্ধুরা শীতে সর্দি-কাশি রোধে ঘরোয়া প্রতিকার নিয়ে আজকের আর্টিকেল থেকে শীতে সর্দি কাশি রোধে ঘরোয়া প্রতিকার সম্পর্কে জানলাম । আমাদের সঙ্গে থেকে ফেসবুক পেজ লাইক করে পড়তে থাকুন এরকম আরো অনেক আর্টিকেল । পোস্টটি ভালো লাগলে শেয়ার করতে ভুলবেন না।