পরীক্ষা তো পরীক্ষাই,এত পড়া,রাতে ঘুম হয় না,একটা চাপা টেনশন । সমস্যাগুলোকে যদি এভাবে বলা যায় , দেখোতো তোমাদেরও কি এইরকম অবস্থা হচ্ছে নাকি —
i) পড়া মনে থাকছে না, কেবলই মনে হচ্ছে যদি পরীক্ষার সময় ভুলে যাই কী হবে ?
ii) কী পড়ব, কীভাবে পড়ব বুঝে উঠতে পারছি না।
iii) বেশি ঘুম পাচ্ছে, পড়তে বসলেই ঘুম পায়।
Iv) ঘুম আসে না চিন্তায়, মাথা ব্যাথা করে ।
v) কোনো একটা Subject এ দূর্বল। ভয় ঐ বিষয়টাকে নিয়েই।
vi) কোনো চ্যাপ্টার কিছুতেই মাথায় ঢোকে না – মুখস্থও থাকে না ।
vii) পড়া ভালো তৈরি হয়নি তবুও পড়ায় মন বসছে না।
viii) নানান শারীরিক সমস্যা পরীক্ষার প্রস্তুতিতে ব্যাঘাত ঘটেছে ।
ix) বিয়ে, অনুষ্ঠান , পূজা ইত্যাদি, মাইকের শব্দ, আত্মীয়-স্বজন নানা ডিষ্টার্ব।
—— সমস্যাগুলি যদি মোটামুটি এই রকম হয় তবে ধারাবাহিক ভাবে কিছু টিপস দেওয়া হলো। এগুলি যদি মেনে চলতে পারো উপকৃত হবে আশা করা যায়।
(ক) পড়ার বিষয়গুলি ছবি কল্পনা করে পড়ো। কারণ আমাদের মস্তিষ্ক সবকিছু ছবি দিয়ে ধরে রাখে।
(খ) পড়াগুলি দেখে দেখেই লেখো বা যতটা সম্ভব লিখে লিখে পড়।
(গ) concept tree বানিয়ে পড়ো :- পড়ার অধ্যায়গুলো কে কয়েকটি অংশে ভাগ করে নিয়ে পড়া। একটি গাছে যেমন ডাল-পালা পাতা থাকে , তেমনি কোনো অধ্যায়কে গাছ ধরে তার প্রতিটি পাতার অংশগুলোর সারমর্ম লিখে নিয়ে পড়লে বেশি মনে থাকে। এই পদ্ধতির নাম concept tree।
(ঘ) নিমনিক:- নিমনিক হলো কতগুলো ছক বা ছন্দের মাধ্যমে পড়াকে সাজিয়ে নেওয়ার পদ্ধতি। এই কৌশল ব্যবহার করে যে কোনো কঠিন পড়াও মনে থাকে । আমাদের মস্তিষ্ক অগোছালো কিছু মনে রাখতে পারে না । তাই এই পদ্ধতি সুদূরপ্রসারী ফল দেয় ।
(ঙ) হালকা মিউজিক বা পরিচিত গান low volume এ চালিয়ে পড়ো। এই মিউজিক এর ফলে মনোযোগ বাড়ে – এটা গবেষণায় প্রমাণিত । মিউজিক একটি এমন প্রাচীর তৈরি করে যা বাইরের ডিস্টার্বিং বিষয় থেকে রক্ষা করে ।
(চ) রঙিন পেন দিয়ে পয়েন্টগুলি লেখ। গুরত্বপূর্ন পড়াগুলি underline বা highlight করে রাখো বেশি মনে থাকবে । কেননা আমাদের ব্রেইন রঙচঙে উজ্বল জিনিস বেশি মনে রাখে।
(ক) সাজেশন অনুসারে প্রশ্নগুলির তালিকা বানাও ।
(খ) মুখস্থ নয় বুঝে বুঝে পড়ার চেষ্টা করো।
(গ) কম তৈরি হওয়া পড়াগুলির প্রশ্নগুলি চিহ্নিত করো ।
(ঘ) সকালে ঘুম থেকে উঠে কম পড়া হয়েছে বা তৈরি না হওয়া পড়াগুলি আগে পড়ো ।
(ঙ) পরীক্ষার কয়দিন বাকি – একটা রুটিন তৈরি করে পড়ো ।
(ক) ঘুম শরীরের স্বাভাবিক ক্রিয়া । ঘুম পেলে ঘুমিয়ে নেবে । জোর করে জাগলে ক্ষতি হবে ।
(খ) Deep ঘুমের প্রয়োজন । Deep ঘুম হলে শরীর ঝরঝরে লাগবে । Deep ঘুমের জন্য হালকা exercise করো ।
(গ) রিচ্ খাবার বা বেশি মশালা যুক্ত খাবার যেমন মাংস ইত্যাদি কম খাবে । এসবে ঘুম বেশি পায় আর মাত্রারিক্ত খেলে পেটের সমস্যাও আসতে পারে ।
(ঘ) পড়তে বসলে আগে ভালোলাগা কোনো পড়া দশমিনিট পড়ে নাও । এতে মনোযোগ আসবে আর ঘুম কম পাবে ।
ঙ) ঘুম পেলে লেখা শুরু করো ।
(ক) মনে রাখার বিষয়ে কখনো দুর্বল কেউ হয় না- হয় তার ভাবনা আর আত্মবিশ্বাসে দুর্বল।
(খ) যদি মনে হয় কোনো বিষয়টি বা চ্যাপ্টারপটি কম পড়া হয়েছে বা মাথায় ঢুকছে না, এক্ষুণি বন্ধুকে contact করো,সময় বের করে একটু আলোচনা করে নাও ঐ বিষয়টি – দেখবে সহজ হয়ে গেছে ।
(গ) তুমি পারবে মনকে শক্তি দাও। তাহলে বেশি মনে থাকবে এবং বেশি বুঝতে পারবে।
(ক) চোখ বন্ধ করে সফল এবং ভালো নম্বর পাওয়া মার্কশিটটি কল্পনা করো । তাহলে দেখবে পড়ার প্রতি আগ্রহ জন্মাবে ।
(খ) নানা শারীরিক সমস্যা থাকলে পরীক্ষার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নাও , এবং বাড়ির বড়দের পরামর্শ অনুযায়ী নিজের পরিচর্যা করো ।
(গ) বাইরের সমস্যা স্বাভাবিক ব্যাপার, আসতেই পারে । যদি নানা উপদ্রব তোমার পড়ার ক্ষেত্রে বাধার সৃষ্টি করে বাবা মাকে জানাও সেটা; তারাই ব্যবস্থা নেবেন ।
(ঘ) সকালে, সন্ধ্যায় বেশি পড়বে এই সময় মানুষের ব্রেইন বেশি active থাকে ।
(ঙ) মেডিটেশন বা একটু যোগ সাধনা করার চেষ্টা করো -এতে মস্তিষ্ক সুস্থ ও স্বাভাবিক থাকে ।পড়া বেশি মনে থাকবে ।
সর্বোপরি মনে রাখাবে অন্যরা কি করছে সে বিষয়ে নয়, নিজে কি করছ, কি করবে সেটার দিকে ধ্যান দেবে । কারন পরীক্ষা হল জীবনের একটা সিঁড়ি,তোমাকে সামনে আরো সামনে এগিয়ে যেতে হবে । ভালো থেকো।
লেখাটি কেমন লাগল তা আমাদের কমেন্টবক্সে জানান। আর এরকম আপডেট পেতে আমাদের ফেসবুক পেজটি ফলো করুন। [FOLLOW US ON FACEBOOK]
View Comments
খুব ভালো
ধন্যবাদ
Thanks for your support
Thank you so much for this post. It helped in my study. 😊😊
Thanks for your support
Thank you so much ...I am highly motivated by this ..
Happy to hear that.