বর্তমানের এই কম্পিটিটিভ চাকরির বাজারে, নিজেকে চাকরি পাওয়ার যোগ্য করেতোলা আর ইন্টার্ভিউয়ে সেটা ফুটিয়ে তোলা দুটোই সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ। এই বিষয়ে একটা কথা মনে রাখা খুবই জরুরি যে, ইন্টার্ভিউয়ারের কাছে তুমি বা তোমার যোগ্যতা পৌঁছনোর আগে যেটা পৌঁছায় সেটা হল তোমার CV বা Resume, আর ঠিক সেই কারণেই এটা খুবই গুরুত্ত্বপূর্ন যেন তোমার CV বা Resume টি আকর্ষণীয় হয়।
বর্তমানে দেখাযাচ্ছে যে এক এক পোস্টের জন্য এত CV কোম্পানিগুলোর কাছে আসছে যে একজন ইন্টার্ভিউয়ার গড়ে মাত্র ৬ থেকে ৭ সেকেন্ড দেয় একটি CV দেখার জন্য। এই লেখাটিতে তোমরা জানবে যে কিভাবে একটি ভালো ও আকর্ষণীয় CV বা Resume বানাতে হয়।
তুমি চাকরির বাজারে একদম নতুন হও বা অভিজ্ঞতাসম্পন্ন, তাতে তোমার CV তে কিছু কিছু বিষয়ে পার্থক্য থাকলেও মোটের ওপর বিষয়বস্তু একই থাকবে।
বর্তমানে CV বানানোর জন্য অনেক Website রয়েছে যেখানে তুমি তোমার ডিটেইলসগুলি ইনপুট করলেই একটি অটোমেটেড CV জেনারেট হয়েযাবে, কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এই সার্ভিসগুলি পেইড আর ফ্রি ভার্সনে অনেক লিমিটেশনস থাকে। তাই আমরা যে ফ্রি সার্ভিসটি ব্যবহার করব সেটা হল Google Docs , এটা ফ্রি এবং তোমার Google Account থেকে লগ ইন করে খুব সহজেই CV টি বানাতে পারবে।
Step One : Log In
প্রথমে এই লিংক এ ক্লিক করে Google Docs এ লগ ইন করতে হবে। এরপর নিচে দেওয়া ছবির মত একটা পেজ খুলে যাবে, এরপর সেখান থেকে Resume অপশনটি সিলেক্ট করতে হবে।
Step Two : Input Details
Resume অপশনটি সিলেক্ট করার পর নিচে দেওয়া ছবির মত একটা পেজ আসবে সেখানে নিজের সমস্ত ডিটেইলস লিখতে হবে, যেমন : নাম, ঠিকানা, যোগাযোগের মাধ্যম (ফোন নম্বর, ইমেইল ইত্যাদি ), শিক্ষাগত যোগ্যতা, স্পেশাল স্কিলস, কাজের অভিজ্ঞতা ইত্যাদি।
Step Three : Final Check & Download
সব ডিটেইলস দেওয়া হয়েগেলে একবার সেটা ক্রস-চেক করে নিতে হবে, কারন কোন ভুল তথ্য ইন্টার্ভিউয়ারের কাছে গেলে সেটা তোমার প্রতি একটা নেগেটিভ ইম্প্রেশন হিসেবে ধরা হবে।
সবকিছু ঠিক থাকলে এবার তুমি CV টি PDF বা MS Word ফাইল হিসেবে ডাউনলোড করে নিতে পারবে। এরপর Offline ইন্টারভিউ এর ক্ষেত্রে প্রিন্টেড কপি আর Online এর ক্ষেত্রে আপলোড করে নিজের CV পাঠিয়ে দিতে পারো।
CV বা Resume লেখার সময় কি কি বিষয় মনে রাখতে হবে :
১. নিজের নাম, ঠিকানা এবং যোগাযোগের মাধ্যম অবশ্যই নির্ভুল দেবে , বিশেষ ভাবে মোবাইল নম্বর আর ইমেইল, কারন তুমি সফল হলে এই দুটোর মাধ্যমেই তুমি সেই খবর পাবে।
২. তোমার মধ্যে কি কি বিশেষত্ব আছে তা উল্লেখ করবে, যেমন : Quick Learner, Hard Working ইত্যাদি, আর ইন্টারভিউযার এগুলি নিয়ে প্রশ্ন করলে তার জন্য প্রস্তুত থাকবে, সেই কারণেই না বুঝে যা খুশি লিখে ফেলবে না, যেটা পারো শুধু সেটাই উল্লেখ করবে।
৩. নিজের শিক্ষাগত যোগ্যতা লেখার সময় সেটা বড় থেকে ছোট অর্ডারে লিখবে , যেমন : যদি তোমার সর্বোচ্চ যোগ্যতা হয় Graduation তাহলে সেটা সবার উপরে লিখবে, তারপর 12th তারপর 10th লিখবে।
৪. স্পেশাল স্কিলস যেমন : কম্পিউটার নলেজ বা কোন উচ্চতর যোগ্যতা থাকলে তা অবশ্যই উল্লেখ করবে।
৫. যদি তুমি নতুন হয়ে থাক তাহলেও আগে ছোট কোন কাজও যদি করে থাক সেটা নিজের CV তে উল্লেখ করবে, এতে ইন্টারভিউযার এটা বুঝতে পারবে যে তোমার কাজ করার চাহিদা ও মানসিকতা রয়েছে।
৬. যদি তুমি আগে কোন কোম্পানিতে কাজ করে থাক, তাহলে সেখানে তুমি কোন পোস্টে কাজ করেছ, কতদিন করেছ তা উল্লেখ করবে।
৭. “তোমার Hobby কি ?” এই প্রশ্নটা ইন্টারভিউয়ার অনেক সময়ই করে থাকে, তাই নিজের CV তে এটা উল্লেখ করে দেওয়াটাই ভালো। কিন্ত মনে রাখতে হবে ইন্টারভিউয়ারকে খুশি বা ইম্প্রেস করার জন্য যা খুশি লিখবে না, যেটা সত্যি তোমার হবি সেটাই লেখ, কারন সেটার ওপর প্রশ্ন করলে তুমি যেন সঠিকভাবে উত্তর দিতে পার।
আশাকরছি উপরের তথ্যগুলি তোমাদেরকে অনেকটাই সাহায্য করবে একটা ভালো ও আকর্ষণীয় CV বা Resume বানানোর জন্য। যদি তোমাদের কাছে আরও ভালো এবং সহজ উপায় থাকে তাহলে তা অবশ্যই আমাদের কমেন্টে জানাও, আর এরকম বিভিন্ন ইনফরমেশনাল আর্টিকেল পড়তে আজই আমাদের ফেসবুক পেজের সাথে যুক্ত হও। আরও দ্রুত ও সরাসরি তোমার মোবাইলে আপডেট পাওয়ার জন্য ওয়েবসাইটের নিচে দেওয়া Bell Icon এ ক্লিক করে পেজটি সাবস্ক্রাইব করে রাখতে পার।
View Comments
wow that's a very nice post..thank you very much.