“আমরা আমাদের চিন্তা করি এবং কাজ অনুযায়ী আমাদের অভ্যাস তৈরি হয়ে যায় । অভ্যাস আমাদের চরিত্র গঠন করে আর চরিত্র আমাদের ভাগ্য গঠন করে ।”
Quit eight habits to stay happy
আমাদের ব্যবহার আমাদের অভ্যাসের ফলশ্রুতি । অভ্যাসের ফলে আমাদের কিছু কিছু ব্যবহার আপনা-আপনি সক্রিয় হতে থাকে । চরিত্র আমাদের অভ্যাসের যোগফল । ভালো অভ্যাস যেমন আমাদের অনেক দূরে নিয়ে যেতে সাহায্য করে তেমনি আমাদের খারাপ অভ্যাসগুলি পদে পদে আমাদের অবনতির দিকে নিয়ে যায় । যা আমাদের জীবনকে দুর্বিষহ করে তোলে । অভ্যাস একদিনে কখনো তৈরি হয় না , ভালোই হোক আর মন্দই হোক । অভ্যাস তৈরি হয় একই কাজ বারবার করার মাধ্যমে , তুমি যা দেখো , যা শোনো , যা বলো যা করো তাই হয়ে ওঠো । মনে রেখো , পরিবেশও আমাদের গড়ে তোলে , আমাদের ভাবনা চিন্তাকে প্রভাবিত করে । তুমি পরিবেশ থেকে কোন অভ্যাসটা গ্রহণ করবে আর কোনটা বাদ দেবে সেটা তোমার উপর নির্ভর করবে ।
আমার সবাই নিজেকে অন্যের চোখে সকলের চেয়ে সুখী আর আকর্ষনীয় দেখাতে চাই । ভিতর থেকে খুশি আনন্দিত সুখী খুব কম মানুষই থাকে । দৈনন্দিন কিছু অভ্যাসের সাথে আমরা আমাদের ভিতরের খুশিকে নষ্ট করে দিই । এই অভ্যাসগুলির দ্বারা আমরা নিজের অজান্তেই নিজের চরম ক্ষতিসাধন করে থাকি । এসো জেনে নেই সেই অভ্যাসগুলির কথা যার কবল থেকে আমাদের বেরিয়ে আসা জরুরি ।
১) নিজেকে অন্যের সাথে তুলনা করা :-
“You are a masterpiece unrepeatable, in comparable utterly unique, respect your unqueness and drop compression relax into your being.”
– Osho
কথায় কথায় অন্যের সাথে নিজের তুলনা করা অভ্যাসটা আমাদের সকলের মধ্যে থাকে । মনে রেখো আমরা প্রত্যেকেই স্বতন্ত্র ক্ষমতার অধিকারী । প্রত্যেককে দিয়ে কখনো একই রকম কাজ হয় না । তুলনা আমাদের ভিতর একপ্রকার হীনমন্যতার জন্ম দেয় । একজন সাধারণ ব্যক্তি অন্যের সাথে নিজের তুলনা করে কখনো উঁচু যায়গায় পৌঁছাতে পারবে না । কারন তুলনা কখনো তাকে হতাশ করবে , কখনো হয়তো বা আপ্লুত করবে –দুটিই মারাত্মক । দুটোই আমাদের ভিতরের কর্মক্ষমতাকে স্তিমিত করে দেয় । নতুন করে চিন্তা ভাবনা করার ক্ষমতা কেড়ে নেয় । উচ্চ আত্মমর্যাদা বোধ সম্পন্ন ব্যক্তি কখনো অপরের সঙ্গে নিজের তুলনা করে না । তারা নিজের কাজকে উন্নত করার চেষ্টা করে । তাদের প্রতিযোগিতা নিজেদের সঙ্গেই । তারা তুলনা করে তাদের সামর্থ্য এবং সামর্থ্য অনুযায়ী কতটা কাজ করতে পেরেছেন তার সঙ্গে । তাই তুলনা করার অভ্যাসটা ত্যাগ কর , নিজের ক্ষমতার উপর বিশ্বাস রাখো আর এগিয়ে যাও । মনে রাখবে তোমার প্রতিযোগী তুমি নিজেই ।
২) অহেতুক ভয় পাওয়ার প্রবনতা :-
“The cave you fear to enter holds the treasure you seek . “
– Joseph Campbell
ভয় দুই ধরনের হয় একটা হল প্রকৃত ভয় আর অন্যটা হলো কাল্পনিক ভয় । জঙ্গলে তুমি হঠাৎ বাঘের সন্মুখীন হলে , সেই সময় তোমার ভিতর যে ভয়ের সৃষ্টি হবে সেই ভয়টা স্বাভাবিক । কারন ওই সময় তুমি যদি নিজেকে বাঁচানোর চেষ্টা না করো , তবে হয়তো তুমি মৃত্যু-মুখে পতিত হবে । তখন আর ভয় পেতে হয় না তোমার শরীরে স্বাভাবিক ভাবেই ভয়ের সঞ্চারণ ঘটে । কিন্তু কাল্পনিক ভয় হল আমাদের দ্বারা ইচ্ছাকৃত তৈরি করা ভয় । যেখানে আমরা নিজেরা ভয় তৈরি করি আর ভয় পাই । ভয় সত্যিই এক শক্তিশালী ক্ষমতা , মানুষ জীবনে যা পেতে চায় ভয় তা পাওয়ার পথে নানা ভাবে প্রতিবন্ধক হয়ে দাঁড়ায় । ভয় থেকে আসে নিরাপত্তার অভাব । ভয় আমাদের সম্ভাবনা ও ক্ষমতাকে নষ্ট করে দেয় । আমাদের মধ্যে অনেকেই আছে যারা নিয়মিত ভয়ের কারাগারে বন্দী করে রেখেছে নিজেদের –কখনো ব্যর্থতার ভয়ে কখনো অজানার ভয়ে , কখনো প্রত্যাখ্যাত হওয়ার ভয়ে , কখনো ভুল সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভয়ে , কখনো প্রিয়জনদের হারানোর ভয়ে । ভয় পাওয়াটা অভ্যাসে পরিণত হয়ে যায় — যখন আমরা সঠিকভাবে বিষয়টিকে না দেখে তাতে কল্পনার প্রলেপ লাগাই । ভয় পেলে সেই ভয়ের বিষয়টি বোঝার চেষ্টা করো । তুমি বুদ্ধি প্রয়োগ করে দেখো সেখানে আদৌ ভয়ের কোনো কারণ আছে কি না ? ভয়ের কারনে আমাদের নানারকম শারীরিক সমস্যাও দেখা দেয় , ও মানসিক ভাবে আমরা দুর্বল হতে থাকি ।
৩) সমালোচনা করা :-
“Any fool can criticize complain and condemn most fools do . But it takes charecter and self-control to be understanding and forgiving .”
– Dale Carnegie
“The pleasure of criticizing Takes away from us one pleasure of being moved by some very fine things . “
– Jean de la Bruyere
মানুষ অন্যের সমালোচনার মাধ্যমে একটা দারুন আনন্দ অনুভব করে । নিজেকে অন্যের থেকে ভালো আর বড় মনে করার আনন্দ । এটা আসলে মানুষের অহংবোধ থেকেই আসে । আমরা সত্যিই খুব তুচ্ছ ও ক্ষুদ্র চিন্তা নিয়ে অন্যের জীবনকে দেখি । অন্যের জীবনে ঘটে যাওয়া কোনো ঘটনাকে আমরা আমাদের ক্ষুদ্র দৃষ্টিভঙ্গি থেকে বিচার করি । অথচ আমরা কতই বোকা, দেখো আমরা যা ভাবি সেটা তো সংকীর্ণ অবস্থায় সীমাবদ্ধ হবেই । তুমি যা শোনো বা দেখ , বা যা দেখে এসেছ তার উপরেই তোমার বিচার তৈরি হয় তোমার মনে । যা জানো না বা দেখো নি তাই নিয়ে তুমি কখনো ভাবতে পারো না বা ভাবতেও চাও না যে এটাও হতে পারে । সুইস মনোবিদ কার্ল ইয়ুং বলেছিলেন __ ” চিন্তা করাটা কঠিন আর তাই বেশিরভাগ মানুষই নিজের ধারণা দিয়ে অন্যেকে বিচার করে বসে ” । পরিস্থিতির সঠিক বিশ্লেষণ না করে , সোফায় গা এলিয়ে টিভির রিমোট নিয়ে অন্যের সমালোচনা করা খুবই সহজ একটা কাজ । এই কাজটি একদিন আমাদের অভ্যাসে পরিণত হয়ে যায় , যা আমরা প্রতিনিয়ত করতে থাকি । অন্যের সমালোচনার মাধ্যমে আসলে আমরা আমাদের দুর্বলতাকেই প্রতিষ্ঠিত করি । এই অভ্যাস আমাদের ভিতরে থাকা আমিটাকে নেতিবাচক আর বিচারক বানিয়ে দেয় । যা নিজেকে অসুখী বানানোর জন্য যথেষ্ট ।
” অন্যের সমালোচনার মাধ্যমে আসলে আমরা আমাদের স্বভাকেই তুলে ধরি । ”
৪) দোষারোপ করা :-
আমরা যখন কোনো কাজ করে তার আশানুরূপ ফল লাভ না করি তখনই কতগুলি অজুহাত দাঁড় করাইয়া । অথবা সেই কাজের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তি বা বস্তুর উপর দোষারোপ করি । ফলে আমাদের সমাজে দোষারোপ করাটা একটা অভ্যাসে দাঁড়িয়ে গেছে । আমরা আমাদের হতাশা ক্ষোভ দুশ্চিন্তা ব্যর্থতা অসুখী থাকার কারন হিসেবে সর্বদা অন্যকে দায়ী করি । অন্যের প্রতি দোষারোপের মাধ্যমে আমরা আসলে আমাদের জীবনের দায়িত্ব কর্তব্যের প্রতি অবহেলা প্রকাশ করি । অন্যের উপর দোষারোপের ফলে কখনও আমাদের ভুলটা দেখতেই পাই না , ফলে আমাদের জীবনের গতি থেমে যায় , নতুন কিছু শেখার রাস্তা বন্ধ হয়ে যায় । অন্যকে দোষারোপ করে কখনো তুমি সুখী হতে পারবে না । হয়তো অনেক সময় অনেক পরিস্থিতির পেছনে সত্যিই অন্য কারুর দোষ থাকে কিন্তু আমাদের উচিত সেখান থেকে নিজেকে বের করে এনে নিজের জীবনের দায়িত্ব নেওয়া আর নিজেকে সমৃদ্ধ আর সুখী করে তোলা । আসলে দোষারোপ করার মাধ্যমে আমরা আমাদের শক্তির অপচয় ঘটাই আর এর ফলে আমাদের চরিত্রের দূর্বলতা প্রকাশ পায়। যখন তুমি অন্যের উপর দোষারোপ করা বন্ধ করবে তখন তোমার ব্যক্তিত্বের বিকাশ ঘটবে । এরপর থেকে তুমি যখন কোন বিষয়ে upset থাকবে তখন তোমার সামনে দুটো রাস্তা খোলা পাবে , হয় তুমি সেই কারনের জন্য অন্যের উপর পুরো দোষ চাপিয়ে ক্ষান্ত হবে নয়তো সেখান থেকে নিজের উপর কাজ করে সেই পরিস্থিতি থেকে নিজেকে বের করে নিয়ে আসবে ।
৫) হীনমন্যতা :-
“Inferiority complex is a gold – plated highway to the throne of depression.”
-Ikechukwo Izuokor
আমাদের আর একটা বাজে অভ্যাস হল কথায় কথায় নিজেকে ছোট মনে করা । এটি নিঃসন্দেহে একটি খারাপ অভ্যাস যা আমাদের ব্যক্তিত্বকে অন্তঃসারশূন্য করে তোলে । আমরা আমাদের দৈনন্দিন জীবনে চারপাশে ঘটে যাওয়া ঘটনার সঙ্গে নিজের তুলনা করে এই হীনমন্যতার জন্ম দিই । নেতিবাচক আবেগকে প্রশ্রয় দিতে দিতে এই হীনমন্যতা বোধ করার অভ্যাস দিনদিন বাড়তেই থাকে ।
‘আমি তো ওর মতো সুুন্দর নই ‘।
‘আমার দ্বারা কখনও এই কাজটি হবে না।’
‘ আমার সাথে সবসময়ই এরকম হয় ।’
‘ ওর কাছে কতকিছু আছে ..আমার কি আর কখনো হবে সেগুলি ভেবে আর লাভ কী’
ইত্যাদি কথা সারাদিন চলতে থাকে আমাদের মনে । আত্মবিশ্বাসের অভাব, নিজের যোগ্যতার প্রতি অবিশ্বাস, নিজেকে সর্বদা দুর্বল মনে করার প্রবণতাই আমাদের ক্রমশ হীনমন্যতার দিকে ঠেলতে থাকে । এর ফলস্বরূপ আমরা আমাদের নিজস্বতাকে হারিয়ে ফেলি এবং নিজের কাছে মূল্যহীন হতে থাকি । তুমি যদি নিজেই নিজেকে মূল্য দিতে না পরো তো অন্যেরা কেন তোমাকে মূল্য দেবে বলতে পারো ? নিজের ভিতরের তুমিটাকে গুরত্ব দাও তার কার্যক্ষমতাকে দেখার চেষ্টা করো । তোমার দ্বিতীয় আর কেউ নেই এই দুনিয়ায় । তুমি অনন্য , তুমি-ই পারবে যা তুমি করতে চাইছো । তাই আজ থেকে হীনমন্যতাকে বিদায় জানাও আর নিজের মধ্যে খুশি থাকার চেষ্টা কর।
৬ ) অজুহাত :-
“We have more ability than will power, an it is often an excuse to ourselves that we imagine that tnings are impossible”
-Farncois De La Rochefoucauld
কথায় বলে বাঙালীদের তিনটি হাত ডানহাত বামহাত আর অজুহাত। আমরা অজুহাত দিতে সর্বদা পারদর্শী । যে কোনো কাজে ব্যর্থ হলেই আমাদের কেন হলো না তার পিছনে হাজারটা অজুহাত খাঁড়া করি । কাজটা না হওয়ায় পিছনে যে নিজেরও দোষ থাকতে পারে সেটা আমরা অনেকসময় দেখি না । যখন তুমি অজুহাত তৈরি করো তখন তুমি ভুল থেকে শেখার রাস্তাটা বন্ধ করে দাও । ফলে ধীরে ধীরে এটা আমাদের একটা অভ্যাসে পরিণত হয়ে যায় । অজুহাত দিয়ে আমরা ভাবছি বেঁচে গেলাম কিন্তু দিনের শেষে ক্ষতি আমাদেরই হয়ে থাকে । সফল ব্যক্তিরা কখনো অজুহাত দেখায় না , কারন তারা জানেন অজুহাত তাদের স্বপ্নকে কখনো বাস্তবরূপ দিতে পারবে না । তাই অজুহাত থেকে তাঁরা দূরে থাকেন । তুমিও আজ থেকে অজুহাত দেওয়া অভ্যাসটি ত্যাগ করো আর এগিয়ে যাও তোমার স্বপ্নপূরণের দিকে ।
৭) অভিযোগ করা :-
অভিযোগকারীর সঙ্গে বেশিক্ষণ থাকতে কেউই পছন্দ করে না। আমাদের অভিযোগ আমাদের অভিভাবকের বিরুদ্ধে, সন্তানদের বিরুদ্ধে , বর্তমান অর্থনৈতিক অবস্থার বিরুদ্ধে , দেশের রাজনীতি , শিক্ষা , সমাজের বিরুদ্ধে অথবা আমাদের উর্ধ্বতন কর্তার বিরুদ্ধে চলতেই থাকে । এর ফলে আমরা সেটা কী করে ঠিক করা যেতে পারে তা না ভেবে তার উপর কাজ না করে ব্যক্তি বা পরিস্থিতির উপর অভিযোগ করতে শুরু করি । আমরা আমাদের বহুমূল্য সময় নষ্ট করতে থাকি অভিযোগ করার পিছনে । আমরা যদি আমাদের জীবনে ঘটে চলা প্রতিটা ঘটনার দায়িত্ব নিজে নেই তাহলে হয়তো আমাদের অভিযোগ করার সুযোগ আসবে না । জীবনকে সম্পূর্ণ ভাবে অন্যরকম চোখে দেখতে হলে আরও সুন্দর জীবন কাটাতে হলে অভিযোগ করার অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে । বার্নার্ড শ যেমন বলেছিলেন –
” এই পৃথিবীতে যারা সফলকাম হয়েছেন তাঁরা কোন একদিন উঠে দাঁড়িয়ে তাঁদেরই দাবী মতো তাঁদেরই প্রতি অনুসন্ধান করেছিলেন এবং যখনই না পেয়েছেন তখনই সেটি তৈরি করে নিয়েছিলেন ।“
“When you complain , you make yourself a victim.leave the situation, change the situation or accept it . All else is madness. “
-Eckhart tolle
৮) নিজেকে জাহির করা :-
কারণে অকারণে সুযোগ পেলেই আমরা নিজের কৃতিত্ব অন্যের সামনে তুলে ধরতে ব্যস্ত হয়ে পড়ি । আসলে কি বলো তো আমরা খুব কম সময়েই সকলের কাছে নিজের গুরুত্ব বাড়াতে চাই , আর সেইসঙ্গে চাই সকলেই যেন আমাকে বেশি বেশি সম্মান ও সমাদর করে । এটা তো গেল বাইরের কোথাও আমাদের প্রকাশ করার বাসনা । কিন্তু তোমরা লক্ষ্য করলে দেখবে , বাড়িতে বা বন্ধুদের কাছে , কিংবা পরিচিত মহলে কোনো বিষয়ে তর্ক বিতর্ক শুরু হলে আমরা নিজেকে জাহির করতে লেগে যাই । নিজেকে নির্ভুল প্রমান করার জন্য বাজি ধরতেও পিছপা হই না । ফলে আমরা অহংকারের বশবর্তী হয়ে পড়ি আর কিছু শিখতে পারি না । কিন্তু ভাবি না যে আমি যদি আমার ব্যক্তিত্বের উন্নতি চাই তবে অন্যের সামনে নিজের কৃতিত্ব ফলাও করতে যাওয়া নিচু মনেরই পরিচায়ক । তাই প্রয়োজন ছাড়া নিজেকে জাহির করতে যাওয়ার স্বভাবটি আজই ত্যাগ করো ।
বন্ধুরা আশা করি এই লেখাটি তোমাদের জীবনে বড় পরিবর্তন আনতে সাহায্য করবে । খুব ভালো থেকো । আমাদের ফেসবুকে সঙ্গে থাকবে , তাহলেই আরো ভালই ভালো লেখা ও পরবর্তী কার্যকলাপের সঙ্গী হতে পারবে । আর লেখাটা বন্ধুদের শেয়ার করতে ভুলো না কিন্তু। সঙ্গে থেকো । এখন রাখলাম।