“Take the stones people throw at you. and use them to build a monument.” – Ratan Tata
রতন টাটার জীবনী
ভারতের অন্যতম নামী ও শ্রদ্ধেয় শিল্পপতি স্যার রতন নাভাল টাটা হলেন টাটা সন্স এবং টাটা গ্রুপের প্রাক্তন চেয়ারম্যান। তিনি বর্তমানে টাটা সন্সের চেয়ারম্যান ইমেরিটাসের দায়িত্ব পালন করছেন, টাটা গ্রুপের হোল্ডিং সংস্থা যা টাটা স্টিল, টাটা মোটরস, টাটা পাওয়ার, টাটা কনসালটেন্সি সার্ভিসেস, ইন্ডিয়ান হোটেলস এবং টাটা টেল সার্ভিসেস সহ কয়েকটি বড় সংস্থাকে নিয়ন্ত্রণ করে। রতন টাটার জীবনী অনেকটাই সিনেমার গল্পের মত। রতন টাটার বয়েস যখন দশ বছর তখন তাঁর বাবা মা পৃথক হন। ফলে তাঁর দাদি তাঁর ও তাঁর মায়ের ভরণপোষণের দায়িত্ব নেন। তিনি স্নাতক শেষ করার পরে সক্রিয়ভাবে পারিবারিক ব্যবসায় জড়িত হন। তিনি শুরুতে টাটা স্টিলের দোকানের ফ্লোরে সহকর্মী হিসাবে কাজ শুরু করেছিলেন এবং পরে তার পারিবারিক ব্যবসা সম্পর্কে অন্তর্দৃষ্টি অর্জন করেছিলেন। এক সময়ে সেই প্রতিষ্ঠানের প্রধান হয়ে বসেন নিজের মেধা আর পরিশ্রম দিয়ে। তারপর ছোট একটি লোকাল কোম্পানীকে বিরাট এক আন্তর্জাতিক কোম্পানীতে পরিনত করেন। ২১ বছরের মিশনে পৃথিবীর ৬টি মহাদেশের ১০০টিরও বেশি দেশে ছড়িয়ে দেন প্রতিষ্ঠানটির ব্যবসা। জে আর.ডি.র অবসর গ্রহণের পর টাটা, তিনি টাটা গ্রুপের নতুন চেয়ারম্যান হন। তাঁর নেতৃত্বে এই সংস্থাটি নতুন উচ্চতা অর্জন করেছে এবং প্রচুর পরিমাণে বিদেশী রাজস্ব আয় করেছে। বিশ্বখ্যাত গাড়ির ব্র্যান্ড টেটলি, জাগুয়ার এ্যান্ড রোভার এবং করাস অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে তিনি ভূমিকা পালন করেছিলেন, যা টাটা কোম্পানিকে একটি বড় ভারত-কেন্দ্রিক সংস্থা থেকে বিশ্বব্যাপী ব্র্যান্ড নামে পরিণত করেছিলেন। বর্তমানে ১০০ টিরও বেশী দেশে টাটার ১০০টির ও বেশি কোম্পানি রয়েছে। তিনি একজন শীর্ষস্থানীয় সমাজসেবী এবং দলে তাঁর অর্ধেকেরও বেশি অংশ দাতব্য ট্রাস্টগুলিতে বিনিয়োগ করা হয়। তাঁর অগ্রণী ধারণা এবং ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির মাধ্যমে, তিনি অবসর গ্রহণের পরেও তাঁর সমষ্টিগতদের জন্য গাইড শক্তি হিসাবে কাজ করে চলেছেন।
ভারতের অন্যতম সফল শিল্পপতি স্যার রতন টাটা ১৯৩৭ সালের ২৮ ডিসেম্বর মুম্বইয়ে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি টাটা গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা জামশেদজি টাটার দত্তক পৌত্র এবং নেভাল টাটার পুত্র। তাঁর মায়ের নাম সুনি টাটা। রতন টাটার বাবা মা যখন পৃথক হয়ে যান যখন তাঁর দশ বছর বয়স ছিল। বাবার দ্বিতীয় বিয়ের পর তাঁর মা এতটাই অসহায় হয়ে পড়েন যে, রতন টাটার আশ্রয় হয় ‘জে.এন, প্রিতিত পার্সি’ নামের এক অনাথ আশ্রমে। সেখান থেকে তাঁর দাদি নাভাজবাই স্যার রতন টাটাকে নিয়ে আসেন, এবং দুই নাতি ও পুত্রবধুর দায়িত্ব নেন। দাদি নাভাজবাই টাটার কাছেই বড় হয়েছিলেন স্যার রতন টাটা। পরবর্তীতে তাঁর মা অন্য কোথাও বিয়ে করেন। স্যার রতন টাটা তাঁর সৎ ভাই নোয়েল টাটার সাথেই বেড়ে উঠতে থাকেন।
হিউম্যানস অফ বোম্বে,” নামক একটি জনপ্রিয় ফেসবুক পেজের সঙ্গে কথোপকথনে রতন টাটা জানিয়েছেন, তাঁর শৈশব অনেক আনন্দের সঙ্গে কেটেছে। যদিও মা বাবার ডিভোর্স নিয়ে তাঁকে ও তাঁর দাদাকে অনেক টিটকারির সম্মুখীন হতে হয়েছিল। দাদির সঙ্গে বেড়ে ওঠার ফলে তাঁর দাদি তাঁকে জীবনের মূল্যবোধ শিখিয়েছিলেন।
শৈশব থেকেই স্যার রতন টাটা ভীষণ মেধাবী ছিলেন। চ্যাম্পিয়ন স্কুলে ৮ম শ্রেণী পর্যন্ত পড়ার পর তিনি মুম্বাই এর ক্যাথেড্রাল এ্যান্ড জন ক্যানন স্কুল এবং সিমলার বিশপ কটন স্কুলে পড়াশুনা করেন। ১৯৫৫ সালে তিনি নিউ ইয়র্ক সিটির রিভারডেল কান্ট্রি স্কুল উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেন এবং ১৯৫৯ সালে তিনি নিউইয়র্কের কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আর্কিটেকচার ও স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রী অর্জন করেন। এছাড়া, ১৯৭৫ সালে তিনি হার্ভাড ইউনিভার্সিটির বিজনেস স্কুল থেকে এ্যাডভান্সড ম্যানেজমেন্ট বিষয়ে একটি কোর্স করেন।
বিশ্বের অন্যতম সফল ব্যবসায়ী রতন টাটার শুরুটা হয়েছিল ছোটখাট চাকরি দিয়ে। পড়াশুনা শেষ করে তিনি আমেরিকার জোনস এ্যান্ড ইমনস নামে একটি ইঞ্জিনিয়ারিং ফার্মে কিছুদিন কাজ করেন। তারপর ১৯৬১ সালে তিনি টাটা গ্রুপে টাটা স্টিলের কর্মচারী হিসেবে তাঁর ক্যারিয়ার শুরু করেন। যেখানে তাঁর প্রথম দায়িত্ব ছিল বিস্ফোরণ চুল্লি এবং চাউলের পাথর পরিচালনা করা। ১৯৯১ সালে টাটা গ্রুপের চেয়ারম্যান হয়ে তিনি টাটা গ্রুপের জন্য আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি এনেছিলেন। তাঁর বাস্তববাদী ব্যবসায়ের দক্ষতার মাধ্যমেই এটি সম্ভব হয়েছিল।
আরও পড়ুন : Life Changing Bengali Quotes। Bengali Motivational Quotes
১৯৯১ সালে জে আর ডি টাটা রতন টাটার মেধা পরিশ্রম ও মানসিকতার মূল্য দিতেই টাটা গ্রুপের চেয়ারম্যান পদে প্রতিষ্ঠিত করেন। ১৯৯১ সালেই রতন টাটা চেয়ারম্যান হয়ে টাটা গ্রুপের জন্য আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায় করেন। চেয়ারম্যানের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে তিনি অনেক সংস্থার প্রধানের কঠোর বিরোধিতার সম্মুখীন হন। যাদের মধ্যে কয়েকজন ছিলেন যারা তাদের নিজেদের প্রতিষ্ঠানের প্রধান হিসেবেও কয়েক দশক অতিবাহিত করেছিলেন। সেইসব প্রধান পদাধীকারীরা প্রায় কেউই চেয়ারম্যান হিসেবে তাঁকে মেনে নিতে চাইছিলেন না। জে.আর.ডি টাটা কোম্পানীর প্রশাসকদের আগে থেকেই অতিরিক্ত স্বাধীনতা দিয়ে রেখেছিলেন, ফলে তাদের অনেকেই স্বেচ্ছাচারী হয়ে উঠেছিলেন। এই স্বেচ্ছাচারী অফিসাররাই মূলত রতন টাটার বিরোধিতা করেছিলেন। এই সমস্যার সমাধানে রতন টাটা কোম্পানীতে চাকরির বয়সসীমা বেঁধে দেন – যাতে এইসব সিনিয়র অফিসারদের বেশিরভাগই অবসরে যেতে বাধ্য হন। এছাড়াও টাটা গ্রুপের অধীনে থাকা কোম্পানীগুলোকে নিয়মিত হেড অফিসে রিপোর্ট করার নির্দেশ দেন, এবং সেইসঙ্গে, প্রতিটি কোম্পানিকে তাদের লাভের একাংশ টাটা ব্র্যান্ডকে বড় করার পেছনে বিনিয়োগ করার নির্দেশ দেন। নতুন নতুন উদ্ভাবনকে অগ্রাধিকার দিয়ে, অল্প বয়স্ক প্রতিভা নিযুক্ত করে তাদের দায়িত্ব দেওয়ার কথা বলেছিলেন তিনি। তাঁর নেতৃত্বে তিনি টাটা গ্রুপের সব কোম্পানীকে একটি প্রশাসনের আওতায় নিয়ে আসেন। গ্রুপের লবণ ও সফটঅয়্যার ব্যবসাকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিয়ে আসার উদ্যোগ নেন।
তাঁর নেতৃত্বেই ২১ বছরে টাটা গ্রুপের আয় ৪০ গুণ ও লাভ বেড়েছিল ৫০ গুণ! যেটা বিস্ময়করভাবে পুরো টাটা গ্রুপকে উজ্জীবিত করেছে। এই সময়ের মধ্যেই রতন টাটার বিচক্ষণতায় অনেকগুলি কোম্পানি অধিগ্রহণ করেছিলেন। সেগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল – বিখ্যাত গাড়ি কম্পানি জাগুয়ার এ্যান্ড রোভার ,চা-এর বিখ্যাত কোম্পানি ব্রিটেনের টেটলি, লণ্ডনের স্টিল কোম্পানি কোরাস-কে অধিগ্রহণ করা । ইতোমধ্যে সারা বিশ্বে টাটার বাস ট্রাক যেমন জনপ্রিয় । তেমনি টাটার ল্যান্ড রোভার জাগুয়ার এর তুলনা কারো সাথেই সম্ভব নয়। পশ্চিমবঙ্গে ন্যানো কারখানা করতে গিয়ে রতন টাটা বলেন তিনি অনেক কিছু বিষয় শিক্ষালাভ করেন যা পরবর্তী ক্ষেত্রে ব্যাবসায় কাজে লেগেছে। মাত্র তিরিশ হাজার টাকায় শুরু করা ব্যাবসা আজ রতন টাটার হাত ধরে ট্রিলিয়ন ডলার কোম্পানিতে পরিণত হয়েছে। শতাধিক প্রতিষ্ঠানের বিচরণ আজ ব্যবসার প্রধান দশটি ক্ষেত্রেই। সেগুলি হল- আইটি, ব্যাংকিং,ওটোমোটিভ ,এরোস্পেস , টেলিকম মেডিয়া , ইলেকট্রনিক্স, কেমিকেল, খাদ্য, টেক্সটাইল ও টুরিজম । টাটা গ্রুপের বাইরেও তিনি বেশকিছু জায়গায় বিনিয়োগ করেছেন। ভারতের অন্যতম ই-কমার্স ওয়েবসাইট Sandal- এ তিনি নিজের পকেট থেকে বিনিয়োগ করেছিলেন। ২০১২ সালে টাটা গ্রুপের প্রধানের দায়িত্বভার থেকে তিনি অবসর গ্রহণ করেন । তাঁর অবসরের সময় সমস্ত কর্মী , ব্যবসায়ী এমনকি যারা প্রথমে তাঁর বিরোধিতা করেছিলেন তারাও আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েছিলেন । রতন টাটা ভারতীয় একজন এমন মানুষ যিনি ব্যবসাকে শুধু ব্যবসা নয় , মানুষের পরিষেবা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে বিশ্বের দরবারে বিস্তারিত এক মহীরুহে পরিণত করেন ।
২০০৮ সালে মুম্বাই তাজ হোটেলে জঙ্গি হামলা হলে অনেক পরিবার স্বজন হারিয়ে , আহত হয়ে , কর্মচ্যুত বিপন্ন হয়ে পড়েছিলেন। উল্লেখযোগ্যভাবে রতন টাটা তখন সেই সব কর্মীদের পাশে থেকেছেন, আর্তের সহায় হয়েছেন। এমনকি কর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে নিজে উপিস্থিত থেকে সাহায্য করেছিলেন । তাঁর টিমের এই জনকল্যাণ মুখী মানসিকতার জন্যই লোকে বলে- যদি জব করতে চাও তো টাটা গ্রুপে করো।
সমাজসেবায় স্যার রতন টাটা :- রতন টাটা একজন মহান মানবপ্রেমী মানুষ। তিনি তাঁর সমস্ত অংশীদারির ৬৫% বিভিন্ন প্রকার চ্যারিটির সাথে যুক্ত সংস্থাগুলোতে দান করেছেন। তাঁর জীবনের মূল উদ্দেশ্যগুলির মধ্যে একটি হলো মানবকল্যাণের পাশাপাশি ভারতীয়দের জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন। তাঁর দানকরা অর্থরাশি – স্বাস্থ্য, শিক্ষা, স্কিল ডেভেলপমেন্ট, জল সংরক্ষণ, বিপর্যয় মোকাবিলা, খেলাধুলা, মেধাবৃত্তি ইত্যাদি বিভিন্ন প্রকার মহৎ কাজে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। IIT Bombay টাটা গ্রূপের তরফ থেকে সর্বোচ্চ দানরাশি হিসেবে ৯৫ কোটি টাকার অর্থরাশি পায়। এছাড়াও বর্তমানের কোভিড পরিস্থিতি মোকাবিলায় টাটা গ্রূপ ১৫০০০ কোটি টাকার সহায়তা প্রদান করেছে। লন্ডনে রতন টাটাকে স্যার টাইটেল দিয়েছেন Honorary Knight ।
১৯৯০-এর দশকে টাটা মোটরস টাটা ইন্ডিকা গাড়িতে বের করেছিল বাজারে। সেই সময় সফলতার পাশাপাশি বিফলতাও হাতে আসে তাদের কোম্পানিতে। পরবর্তী সময়ে বাজারে গাড়িটি ক্রেতাদের মনে তেমন ভাবে জায়গা করতে পারেনি ফলে টাটা মোটরস কে অনেক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হয় । সাহায্য চাইতে টাটা মোটরসের দল তৎকালীন বিখ্যাত গাড়ি প্রস্তুতকারী মার্কিন সংস্থা ফোর্ড- এর কাছে যান। ১৯৯৯ সালে ডেট্রয়েট ফোর্ডের চেয়ারম্যান বিল ফোর্ডের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক সারেন রতন টাটা। শোনা যায় এই তিন ঘণ্টার বৈঠক এ রতন টাটা কে অনেক অপমানজনক কথা শুনিয়েছিলে বিল । বলা হয়েছিল আপনারা যখন কিছুই জানেন না তাহলে গাড়ি বানাতে নেমেছেন কেন এমনকি এই সাহায্য তাদের উপর দয়া করা হবে বলে জানায় ফোর্ড। সেই সময় রতন টাটা অপমানের কোনো জবাব না দিয়ে দেশে ফিরে আসেন এবং সংকল্প করেন যে তাদের ফোর্ড কার ডিভিশন বিক্রি হবে না । দেশে ফিরে নিজের ধ্যান-জ্ঞান সময় পরিশ্রম দিয়ে টাটা মোটরসের ছোট গাড়ি তৈরি বিভাগকে নতুন করে সাজিয়ে তোলেন টাটা গ্রূপ। কিন্তু গল্পটা পাল্টে যায় ঠিক নয় বছর বাদে সালটা ২০০৮ সেই সময় ফোর্ড কোম্পানি দেউলিয়া হওয়ার পথে। সাহায্য চাইতে টাটার কাছে মাথা নোয়াতে হয় এই সংস্থাকে তখন রতন টাটা এগিয়ে আসেন সাহায্য করতে বিখ্যাত গাড়ি জাগুয়ার এবং ল্যান্ড রোভার কিনে নেন ২.৩ বিলিয়ন ডলারের বিনিময়ে। জাগুয়ার-ল্যান্ড রোভার পরে বিশ্বমানের প্রোডাক্ট হিসেবে স্বীকৃতি ও জনপ্রিয়তা পায়। পরে বিল ফোর্ড নিজে রতন টাটাকে ধন্যবাদ জানান।এ যেন শুধু মধুর প্রতিশোধ হয়ে দাঁড়ায়। কয়েক বছরের মধ্যে হু হু করে বিক্রি শুরু হয় জাগুয়ার আর ল্যান্ড রোভারের।এভাবেই টাটা মোটরসের অন্যতম শক্তি হয়ে দাঁড়ায় এই দুই গাড়ি।
হিউম্যানস অফ বোম্বে,” নামক একটি জনপ্রিয় ফেসবুক পেজের সঙ্গে কথোপকথনে রতন টাটা জানিয়েছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্টের কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ে আর্কিটেকচার নিয়ে পড়াশোনা করতে গিয়েছিলেন রতন টাটা। নিউইয়র্ক থেকে আর্কিটেকচার ডিগ্রি পাওয়ার পর লস অ্যাঞ্জেলসে একটি কোম্পানিতে চাকরি করতে যান তিনি। সেখানেই একটি মেয়ের প্রেমে পড়েছিলেন তিনি। বিয়ে প্রায় হয়েই যাচ্ছিল। ঠিক তখনই ভারত থেকে খবর আসে তাঁর দাদি অসুস্থ। দাদির অসুস্থতার জন্য তাঁকে দেশে ফিরতে হয়। তিনি ভেবেছিলেন তাঁর প্রেমিকাও তাঁর সঙ্গে ভারতে আসবেন। কিন্তু সেটা হয় নি। তখন ভারত-চিন যুদ্ধ থাকায় প্রেমিকার মা-বাবা তাঁকে ভারতে ছাড়তে রাজি হননি। পরবর্তীতে প্রেমিকার বাবা মা তাঁর প্রেমিকাকে অন্য কোথাও বিয়ে দিয়ে দেয়। আর অপূর্ণই থেকে যায় শিল্পপতির প্রেমকাহিনী।
রতন টাটা ২০০০ সালে পদ্মভূষণ এবং ২০০৮ সালে পদ্মবিভূষণ সম্মানে ভূষিত হন।
এছাড়াও অসংখ্য জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সম্মাননা পেয়েছেন ভারতের বিখ্যাত এই শিল্পপতি ৷
রতন টাটা শুধু শিল্পপতিই নন , তিনি একজন সমাজসেবী , মানব দরদি ও দূরদর্শী মানুষ । মানুষের পাশে থেকে মানব সমাজের কল্যাণের জন্য ব্যবসাকে প্রতিষ্ঠা করে এ যেন এক নতুন উদ্যম সৃষ্টি করেছেন , যা আগামীদিনে নতুন প্রজন্মকে পথ দেখতে পারবে। তিনি সারাজীবন ধ’রে প্রমান করেন দৃঢ় সংকল্প , জেদ আর মানুষের কল্যাণকামী মানসিকতা থাকলে বিশ্ব জয় করা সম্ভব।
রতন টাটার জীবনী নিয়ে আমাদের লেখাটি কেমন লাগলো তা অবশ্যই আমাদের কমেন্ট বক্সে জানায়। ভালো লেগে থাকলে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করো। এই ধরনের লেখার নিয়মিত আপডেট পেতে আমাদের ফেসবুক পেজটি ফলো করো।