স্বামী বিবেকানন্দ, ভারতীয় ধর্ম ও দার্শনিক চিন্তার অমূর্ত রত্ন, যার জন্ম ১২ জানুয়ারি ১৮৬৩ সালে হয়েছিল। বিশ্ব সম্মেলনে তিনি নিজের বিখ্যাত ভাষণের মাধ্যমে পৃথিবীজুড়ে ভারতীয় সংস্কৃতি এবং ধর্মের মূল্যবোধ করিয়ে দেন। তার উপদেশ ও দর্শনের আলোকে ভারতীয় জাতির আত্মবিশ্বাস ও সংস্কৃতির মৌলিক প্রশাসন উজ্জ্বল হয়ে ওঠে। জন্মের ১৬০ বছর অতিক্রান্ত হবার পরেও তার চিন্তাধারার শৃংখলা এখনো প্রতিস্থাপন করে মানুষের হৃদয়ে একটি আদর্শ জাগরুক করে দেয়। চলুন জেনে নেই শিক্ষা, জীবন, সমাজ নিয়ে স্বামী বিবেকানন্দের বিখ্যাত কিছু উক্তি।
“ওঠো , জাগো এবং লক্ষ্যে না পৌঁছানো পর্যন্ত থেমো না।”
“ওঠো এবং ততক্ষণ অবধি থেমো না, যতক্ষণ না তুমি সফল হচ্ছ ”
‘মনের শক্তি সূর্যের কিরণের মত, যখন এটি এক জায়গায় কেন্দ্রীভূত হয় তখনই এটি চকচক করে ওঠে।’
‘ঘৃণার শক্তি অপেক্ষা প্রেমের শক্তি অনেক বেশি শক্তিমান’
“নিজের উপর বিশ্বাস না এলে ঈশ্বরের উপর বিশ্বাস আসে না।”
“ইচ্ছাশক্তিই জগৎ কে পরিচালিত করে থাকে।”
“যে মানুষ বলে তার আর শেখার কিছু নেই, সে আসলে মরতে বসেছে। যত দিন বেঁচে আছো শিখতে থাকো।”
“এমন কাজ করে চলো যে তুমি হাসতে হাসতে মরবে আর জগৎ তোমার জন্য কাঁদবে।”
“যখন আমাদের মধ্যে অহংকার থাকে না,
তখনই আমরা সবথেকে ভালো কাজ করতে পারি,
অপরকে আমাদের ভাবে সবচেয়ে বেশি অভিভূত করতে পারি।”
Read More : এ. পি. জে. আব্দুল কালামের বিখ্যাত উক্তি ও বাণীসমূহ
তোমার মন ও বুদ্ধির মধ্যে যদি কোন বিষয় নিয়ে দন্ধ সৃষ্ঠী হয় তখন নিজের মনের উপর সবসময় ভরসা রাখবে।
প্রতিটা মানুষের মন অনন্ত শক্তিশালী, মনের একাগ্রতাই হল এই শক্তির উন্মুক্তির আসল পথ।”
সুখ বা আনন্দ কে জীবনের পরম লক্ষ্য ভেবো না, জীবনের পরম লক্ষ্য হল জ্ঞান, ভক্তি ও প্রেম যার দ্বারাই তুমি জীবনে সুখ সাছন্দ খুজে পাবে।”
“সফলতা এবং ব্যর্থতা দুটিই আমাদের জীবনের অংশ কিন্তু কেউই চিরস্থায়ী নয়।”
শিক্ষার উদ্দেশ্য আমাদের শেখানো কিভাবে চিন্তা করতে হয়, কি ভাবতে হয় তা নয়।
শিক্ষা হল সেই চাবিকাঠি যা স্বাধীনতা ও মুক্তির দরজা খুলে দেয়।
শিক্ষা জীবনের প্রস্তুতি নয়; এটা জীবন নিজেই.
অজ্ঞতা ও কুসংস্কার মোকাবেলায় শিক্ষাই সবচেয়ে বড় অস্ত্র।
একদিনে, যখন আপনি কোনো সমস্যায় পড়বেন না – আপনি নিশ্চিত হতে পারেন যে আপনি ভুল পথে যাত্রা করছেন
” শিক্ষা হলো মানুষের মধ্যে ইতিমধ্যে থাকা উৎকর্ষের প্রকাশ। “
“মহাবিশ্বের সীমাহীন পুস্তকালয় আপনার মনের ভীতর অবস্থিত”
“এক দিনে বা এক বছরে সফলতার আশা কোরো না। সবসময় শ্রেষ্ঠ আদর্শকে ধরে থাকো।”
“সেবা করো তাৎপরতার সাথে।
দান করো নির্লিপ্ত ভাবে।
ভালোবাসো নিঃস্বার্থভাবে।
ব্যয় করো বিবেচনার সাথে।
তর্ক করো যুক্তির সাথে।
কথা বলো সংক্ষেপে।”
“জগতে এখন একান্ত প্রয়োজন হল চরিত্র,
জগত এখন তাদের চায় যাদের জীবন প্রেমদীপ্ত ও স্বার্থ শূন্য।”
“নিজের উপর বিশ্বাস না এলে … ঈশ্বরের উপর বিশ্বাস আসে না।”
“জগতে এখন একান্ত প্রয়োজন হল চরিত্র; জগত এখন তাদের চায় – যাদের জীবন প্রেমদীপ্ত ও স্বার্থ শূন্য।”
“প্রবিত্র ও নিঃস্বার্থ হতে চেষ্টা কোরো, তার মধ্যেই রয়েছে সমস্ত ধর্ম।”
“ঘৃণার শক্তি অপেক্ষা প্রেমের শক্তি … অনেক বেশি শক্তিমান।”
“শুধু বড়ো লোক হয়ো না … বড় মানুষ হও।“
“ভগবান যদিও সর্বত্র আছে বটে, কিন্তু তাঁকে আমরা জানতে পারি কেবল মানবচরিত্রের মধ্য দিয়ে।“
“আমরা স্ত্রীলোককে নিচ, অধম, মহা হেয়, অপবিত্র বলি। তার ফল – আমরা পশু, দাস, উদ্যমহীন, দরিদ্র।”
“মেয়েদের উন্নতি করতে পারো ? তবে আশা আছে। নইলে পশু জন্ম ঘুচবে না।”
“জগতে মায়ের স্থান সকলের উপরে, কারণ মাতৃভাবেই সবচেয়ে বেশি নিঃস্বার্থপরতা শিক্ষা ও প্রয়োগ করা হয়।”
“গোলামীর উপর যে সম্পর্কটা দাঁড়িয়ে আছে, সেটা আবার কখনও ভালো হতে পারে? যেখানে মেয়েদের স্বাধীনতা নেই, সে জাত কখনো উন্নতি করতে পারে না।”
“এ দেশের যত আইন কানুন, যত ভালোবাসা, যত স্মৃতি, সমস্ত মেয়েদের দাবিয়ে রাখার জন্য হয়েছে।”
“ভারতীয় নারীদের যে রকম হওয়া উচিত, সীতা তার আদর্শ।”
“একথা সত্য যে, এমন সব স্ত্রী লোক আছেন, যাদের দেখা মাত্র মানুষ অনুভব করে – কে যেন তাকে ঈশ্বরের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। কিন্তু আবার এমন স্ত্রী লোকও আছে, যারা তাকে নরকের দিকে টেনে নিয়ে যায়।”
“জগতের কল্যাণ স্ত্রী জাতির অভ্যুদয় না হলে সম্ভাবনা নেই। এক পক্ষে পক্ষীর উত্থান সম্ভব নয়।”
“সবচেয়ে বড় ধর্ম হল নিজের স্বভাবের প্রতি সত্য থাকা, নিজের প্রতি বিশ্বাস করুন।”
“ধর্ম এমন একটি ভাব, যাহা পশুকে মনুষ্যত্বে ও মানুষকে দেবত্বে উন্নীত করে।”
“শক্তি ও সাহসিকতাই ধর্ম। দুর্বলতা ও কাপুরুষতাই পাপ। অপরকে ভালোবাসাই ধর্ম, অপরকে ঘৃণা করাই পাপ।”
“পবিত্র ও নিঃস্বার্থ হতে চেষ্টা করো, তার মধ্যেই রয়েছে সমস্ত ধর্ম।”
“যত বেশি আমরা বাইরে গিয়ে অন্যদের ভালো করবো, আমাদের হৃদয় ততই বিশুদ্ধ হবে এবং ভগবান সেখানে বাস করবেন।”
“প্রার্থনা করা অপেক্ষা প্রাণ খুলিয়া হাসা অনেক ভালো। গান কর। দুঃখের হাত হইতে নিষ্কৃতি লাভ কর।”
“জগতে যদি কিছু পাপ থাকে, তবে দুর্বলতায় সেই পাপ। সকল প্রকার দুর্বলতা ত্যাগ করো…দুর্বলতায় মৃত্যু, দুর্বলতায় পাপ।”
“প্রথমে অন্নের ব্যবস্থা করতে হবে, তারপর ধর্ম।”
“ঈশ্বর ব্যতীত জীবনের উচ্চতর লক্ষ্য আর কী হইতে পারে? ঈশ্বর স্বয়ংই মানুষের সর্বোচ্চ লক্ষ্য, তাঁহাকে দর্শন কর, তাঁহাকে সম্ভোগ কর, ঈশ্বর অপেক্ষা উচ্চতর বস্তু আমরা ধারণাই করিতে পারি না, কারণ ঈশ্বর পূর্ণস্বরূপ।”
“শক্তিই জীবন, দুর্বলতাই মৃত্যু, বিস্তারই জীবন, সংকোচনই মৃত্যু, প্রেমই জীবন, ঘৃণাই মৃত্যু।”
“সমাজ অপরাধীদের কারণে খারাপ হয় না বরং ভালো মানুষদের নীরবতার কারণে হয়। “
“আমাদের জাতের কোনো ভরসা নেয়, কোনো একটা স্বাধীন চিন্তা – কাহারও মাথায় আসে না , সেই ছেঁড়া কাঁথা নিয়ে টানাটানি।”
“যে অপরকে স্বাধীনতা দিতে প্রস্তুত নয়, সে কখনই স্বাধীনতা পাইবার যোগ্য নহে। দাসেরা শক্তি চায় , অপরকে দাস বানিয়ে রাখার জন্য।”
স্বামী বিবেকানন্দের বিখ্যাত উক্তি ও বাণী এই লেখাটি তোমাদের কেমন লাগলো তা আমাদের কমেন্টে জানাও। ভালো লেগে থাকলে সকলের সাথে শেয়ার করো। আমাদের বিভিন্ন লেখার নিয়মিত আপডেট পেতে আমাদের ফেসবুক পেজটিকে ফলো করো।