কে এই স্যান্টাক্লজ ? জানুন স্যান্টাক্লজের ইতিহাস ।
অনেক দিন আগের কথা। আনুমানিক চতুর্থ শতকে এশিয়া মাইনর অঞ্চলের মায়রা ( যার বর্তমান নাম তুর্কি) অঞ্চলে সেন্ট নিকলাস নামে এক বিশপ ছিলেন । তাঁর পিতা ছিলেন খুউব ধনী ব্যক্তি। পিতার অকস্মাৎ মৃত্যুর পর তরুণ বয়সেই নিকোলাস সমস্ত সম্পত্তির অধিকারি হন । তিনি দেখলেন এই সম্পত্তি কিভাবে মানুষের উপকারে লাগানো যায়।
নিকোলাস কীভাবে সান্তা ক্লজ হলেন :
এশিয়া মাইনরের ওই অঞ্চলে এক গরিব পরিবার ছিল । সেই গরিব লোকের তিন কন্যা ছিল , বাড়ির কর্তা বড় মেয়ের বিয়ের বয়স হয়ে গেলেও কিছুতেই মেয়ের বিয়ে দিতে পারছিলেন না । কারণ সে সময় সেখানে পনপ্রথা প্রচলিত ছিল । মেয়ের বিয়ের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ তাদের ছিল না ।
নিকোলাস সেই খবর শুনলেন , এবং ঐ পরিবারকে গোপনে সাহায্য করার সিদ্ধান্ত নেন । তিনি করলেন কি , একটা কাপড়ের ব্যাগে সোনার উপাদান ভরে গভীর রাতে বেরোলেন ওই গরিব পরিবারের উদ্দেশ্যে। তাদের বাড়িতে চিমনির নিচে যেখানে চিমনির গরমে কাপড় শুকোতে দেওয়া ছিল , সেখানে ওই সোনার ব্যাগটি রেখে দিলেন । পরদিন সোনাগুলো পেয়ে ওই পরিবারের খুশির অন্ত নেই । বড় মেয়ের বিয়ে হয়ে গেল ।
[ CHRISTMAS CARNIVAL : DECORATION , GIFTS & MORE ]
কিন্তু দ্বিতীয় মেয়ের বিয়ের বয়স হতেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটলো যখন , তখন ওই গরিব বাবা ভাবলেন কিভাবে ওই দয়ালু ব্যক্তিকে আবিষ্কার করা যায় । এবং ছোট মেয়ের বিয়ের সময় হলে তিনি রোজ রাতে লুকিয়ে অপেক্ষা করতে লাগলেন । এক রাতে নিকলাসকে সোনার ব্যাগ দেওয়ার সময় দেখে ফেললেন । নিকোলাস স্বীকার করলেন যে তিনিই লুকিয়ে সোনার ব্যাগ ফেলে যেতেন । দরিদ্র লোকটির কাছে নিকোলাস বিষয়টি গোপন রাখতে অনুরোধ করলেন । কারণ নিকোলাস চাইতেন না তার দানের কথা লোক জানুক।
কিন্তু নিকলাসের গোপনে উপহার দানের কথা আর গোপন থাকে না। এইভাবে আস্তে আস্তে সকলেই গোপনে উপহার পেতে থাকেন । আর নিকোলাস হয়ে ওঠেন সকলের প্রিয় Santa Claus । শিশুদের ও নাবিকদের কাছে তার জনপ্রিয়তা সবচেয়ে বেশি |
এইভাবে যারা সান্তা ক্লজ এর দ্বারা কোনোভাবে সাহায্য বা উপহার পেতেন তারাও তার দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে মানুষকে সাহায্য করতে লাগলেন । আর সান্তার নামে উপহার দিতে লাগলেন । নিজেদের গোপন করতে লাগলেন সান্তার লাল সাদা মজার পোশাকের আড়ালে।এইভাবেই আজ প্রিয়জনেরাই প্রিয়জনদের কাছে হয়ে উঠছেন সান্তা ক্লজ ।
[ GET BEST CHRISTMAS GIFTS ONLINE ]
সান্তা ক্লজ এর করুন পরিণতি :
সান্তা ক্লজ এর এত ভালোবাসা আর জনপ্রিয়ইতাই তার কাল হয়ে উঠলো। তাকে মায়রা থেকে তাড়ানো হল। তুরুশকের সম্রাট ডায়াকলেটিয়ান সান্তাকে বন্দি করলেন । আনুমানিক 345 বা 352 সালে তার মৃত্যু হয়।
কিংবদন্তি আছে 1087 সাল নাগাদ জনৈক ব্যাবসায়ী সান্তা ক্লোজ এর হাড় তুরুশক থেকে চুরি করে ইতালিতে নিয়ে রাখেন । আজ তা সেখানেই আছে।
আরো আরো অনেক কিংবদন্তি গল্প আছে সান্তা ক্লজকেনিয়ে । তবে আজও শিশুদের মাঝে সান্তা ক্লজ হয়ে আসেন উদার প্রিয়জনেরা ।
উপহার পেতে সকলের ভালো লাগে। এই সান্তা ক্লজ এর মানসিকতা বা আদর্শই আজ মানবজাতির কাছে উপহার । এস বন্ধুরা আমরা যারা জীবনে কারো না কারো কাছে উপহার পেয়েছি বা কারো দ্বারা বিন্দুমাত্র উপকৃত হয়েছি, তারা এক একজন সান্তা ক্লজ হয়ে উঠি। অসহায় মানুষ ও শিশুদের পাশে দাঁড়াই । কারণ সান্তা ক্লজ এখন আর কোনো ব্যক্তি বিশেষ নয় , শিশুদের খুশি, অসহায়ের ত্রাতা তিনি ——– আমি— তুমি —আমরা সবাই সেই সান্তা ক্লজ ।
এই পোস্টটি Share করো তাদের, যাদের তুমি ভালোবাস , যার দ্বারা কখনো কোনোভাবে উপকৃত হয়েছ।
Khub bhalo hoyeche lekha ta..😇