চুমু খাওয়ার ১০ টি উপকারিতা
সাধারণত আমরা চুমু বা চুম্বন বিষয়টিকে শুধুমাত্র প্রিয়জনের প্রতি ভালোবাসা বা প্রেম প্রকাশের একটা মাধ্যম হিসেবে দেখে থাকি, কিন্তু বর্তমানের বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক গবেষণায় দেখা যাচ্ছে যে চুমু খাওয়ার বেশ কয়েকটি স্বাস্থ্যকর উপকারিতা রয়েছে। তাই তোমার প্রিয়জনের সঙ্গে এই বিশেষ কাজটি করার সময় শুধুমাত্র মানসিক আনন্দ ছাড়াও যেসব শারীরিক উপকারগুলো তুমি পাচ্ছ সেগুলি জানতে চটপট নিচের পয়েন্টগুলি দেখে নাও ।
চুম্বনের বা Kiss করার উপকারিতা
১. মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে :
আজকাল প্রতিটি মানুষই কমবেশি মানসিক চাপের শিকার । আধুনিক গবেষণায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে যে , সামান্য একটা চুমু তোমার এই মানসিক চাপ , হাইপারটেনশন অনেকটাই কমিয়ে আনতে সক্ষম ।
২. আত্মবিশ্বাস বাড়ায় :
এটা আমরা সবাই জানি যে চুমু প্রিয়জনের প্রতি ভালোবাসা প্রেম ও যত্নের প্রকাশ , তাই প্রিয়জনের কাছ থেকে পাওয়া এই চুমু অনেকক্ষেত্রে আত্মবিশ্বাস বাড়াতে সাহায্য করে -এ কথা আর নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না ।
৩. উচ্চ-রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে :
চুম্বন হার্টরেট বাড়িয়ে দেয় , যা শরীরে রক্তপ্রবাহ বৃদ্ধি করে এবং তারফলে রক্তচাপ খুব দ্রুত কমে আসে । চুমু খাওয়ার অন্যতম ভালো একটি দিক ।
৪. রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে :
চুম্বনের মাদ্ধমে যে লালারস বা সালিভার আদানপ্রদান হয় তাতে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেকাংশে বৃদ্ধি পায়। ২০১৪ সালে BioMed Central Ltd এর প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, যে বৈজ্ঞানিক গবেষণায় দেখা গেছে যেসমস্ত কাপলরা নিয়মিত কিস করে তাদের স্যালিভা আদানপ্রদানের মাধ্যমে রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
৫. ব্যথা কমাতে সাহায্য করে :
অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি যে , চুমু দেহে এড্রিনালিন হরমোনের ক্ষরণ ঘটায় , যা দেহের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে ।
জেনে রাখুন : Relationship এ আসার পর মানুষ মোটা হয়ে যায় কেন ?
৬. দাঁতের ক্ষয় কমায় :
চুম্বনের সময় লালাগ্রন্থি লালারস ক্ষরণ ঘটায় , যা আমাদের দাঁতের ওপর একটি আস্তরণ সৃষ্টি করে ও খাবার আটকে থাকতে দেয় না , ফলে দাঁতের ক্ষয় কম হয় ।
৭. সম্পর্ক সুদৃঢ় করে :
কিস করলে আমাদের শরীর Oxytocin হরমোন ক্ষরণ ঘটায় , যাকে “The Love Hormone” বলে । এর ফলে আমাদের মস্তিষ্কে এক ভালোবাসার অনুভূতি সৃষ্টি হয় এবং সম্পর্ক সুদৃঢ় হয় ।
৮. যৌন আকাঙ্ক্ষার বৃদ্ধি ঘটায় :
সুস্থ যৌন জীবন শারীরিক সুস্থতার অন্যতম লক্ষণ । চুমু আমাদের শরীরে Testosterone নামক সেক্স হরমোনের ক্ষরণ ঘটে যা যৌনতার আকাঙ্ক্ষা বৃদ্ধি করে ।
৯. মুখের ব্যায়াম :
যদিও আমরা হয়তো কখনোই এভাবে ভাবিনা , কিন্তু চুম্বন একপ্রকারের ব্যায়ামও বটে । চুম্বনের সময় মুখের দুই দিক থেকে ত্রিশটির মত মাসেলের ব্যবহার হয়ে থেকে । তাই কিস করলে মুখের ব্যায়াম হয় । সবকটা ব্যায়ামই যদি এরকম মজাদার হতো তাহলে হয়তো আর ব্যায়াম করতে অনিচ্ছুক অলস মানুষ খুঁজে পাওয়া যেত না ।
১০. ক্যালোরি বার্ন করে :
যেহেতু চুম্বন এক প্রকারের ব্যায়াম , তাই এতে যে ক্যালোরি বার্ন হবে তা খুবই স্বাভাবিক । চুম্বনের সময় প্রতি মিনিটে প্রায় ২ থেকে ২৫ ক্যালোরি পর্যন্ত আমরা বার্ন করি । তাই এরপর থেকে চুমু খাওয়ার সময় ঘড়ির কাটার দিকে নজর রাখবে , আর তোমার ডেইলি ক্যালোরি বার্ন এর টার্গেটের সাথে যোগ করবে ( জাস্ট মজা করলাম )।
আশা করি এই তথ্যগুলো জেনে তোমাদের ভালো লাগলো । আবার চুমু খাওয়ার পেছনে অনেকগুলো নেতিবাচক যুক্তিও কিন্তু পাওয়া গেল । কিন্তু যেমনটা আমরা সকলেই জানি যে ” Too much of anything is good for nothing ” , খুব পছন্দের কোনো জিনিস বারবার করলে সেটার থেকে পাওয়া আনন্দ অনেকটাই কমে যায় , তাই সব কিছুরই একটা লিমিট থাকা দরকার ।
লেখাটা যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে পারো , আর না হয় নিজের চুমুর পার্টনারের সাথেই শেয়ার কর । এরকম মজার আপডেট পেতে আমাদের ফেসবুক পেজে যুক্ত থাকো । আপডেট সরাসরি মোবাইলে পেতে পেজের নিচের লাল বেল আইকনে ক্লিক করে পেজটি সাব্স্ক্রাইব করে রাখো ।
Nice
nice.& helpful