শীতে ঠোঁটের যত্ন নেওয়ার কিছু টিপস
শরীরের একটি সংবেদনশীল অংশ ঠোঁট। বিশেষ করে ঠোঁট ফাটে না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে কিনা সন্দেহ। শীতে শুষ্ক হয়ে পরে ত্বক ও ঠোঁট। শুষ্ক ঠোঁট হারায় সজীবতাও। তাই এ সময় ত্বকের যত্নের পাশাপাশি ঠোঁটের জন্যও চাই বিশেষ যত্ন। ঠোঁট ফাটার কারণ হচ্ছে ঠোঁট ও শরীরের আদ্রতার অভাব।শীতকালে বাতাসে আর্দ্রতা কম থাকে বলে ঠোঁট আর্দ্রতা হারায় খুব তাড়াতাড়ি।
তাই প্রয়োজন ঠোঁটের যত্ন নেওয়া। ফাঁটা ও অপরিষ্কার ঠোঁট নিজেরও অস্বস্তির কারণ। একটু খেয়াল রাখলে ও সামান্য যত্ন নিলেই এ সময় ঠোঁট সুন্দর রাখা যায়। চলো তবে দেখে নেই এই শীতে কী কী উপায় ঠোঁটের শুষ্কতা দূর করে ঠোঁটের কমনীয়তা বাড়ানো যায় –
ঠোঁটের ত্বকের সজীবতা বজায় রাখার জন্য প্রচুর জল পান করা প্রয়োজন । এতে ঠোঁটের ত্বকে আর্দ্রতা বজায় থাকবে আর ঠোঁট শুকিয়ে যাওয়া থেকে তুমি মুক্তি পাবে।
প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার হিসাবে নারকেল তেলের গুরুত্ব অনেক। ১/২ চামচ নারকেল তেল ও ১/২ চামচ মধু ভালো করে মিশিয়ে নিয়ে সেই মিশ্রণটিকে দিনে দুই থেকে তিন বার ঠোঁটে লাগিয়ে রাখো। ১০ মিনিট ধরে পরে তা ধুয়ে ফেলো। তাতে ঠোঁটের নমনীয়তা বজায় থাকবে এবং রুক্ষতা দূর হবে।
অ্যালোভেরা ঠোঁটে ময়শ্চার এবং হাইড্রেশন যোগায় এবং ঠোঁটকে ড্রাই ফিল হতে দেয় না। এতে থাকা অ্যান্টি- ইনফ্লেমেটরি প্রোপার্টিস ঠোঁটের ড্যামেজ এবং রিংকেলস বা বলিরেখা হওয়া থেকে বাঁচায়। অ্যালোভেরার সঙ্গে কয়েক ফোঁটা গোলাপ জল (Rose Water) মিশিয়ে ১০-১৫ মিনিট রেখে পরে তা ধুয়ে ফেলতে হবে। এতে ঠোঁটের শুষ্কতা কমে যাবে আর ঠোঁট হয়ে ওঠে উজ্জ্বল ও নরম।
জেনে নিন : চুমু খাওয়ার ১০ টি উপকারিতা
মধু শুষ্ক ঠোঁটের জন্য বেশ কার্যকরী। এতে অনেক হিলিং প্রোপার্টিজ রয়েছে যা ঠোঁটে এক্সট্রা ময়েশ্চার যোগ করে। তাই ঠোঁটের শুষ্কতা দূর করতে মধু ও গ্লিসারিনের পেস্ট বানিয়ে ঠোঁটে লাগাও আর পাও নরম ঠোঁট।
শীতকালে ঠোঁটের যত্ন নিতে ঘি ব্যবহার করা উচিত। এই উপাদানটি অনেকক্ষন ধরে ঠোঁটের নমনীয়তা রক্ষা করে আর ঠোঁটের সজীবতা বাড়ায়। এটি ঠোঁটের ফাটা বা কোনো রকম এলার্জি হলে তা সহজেই দূর করে। ঠোঁটের রুক্ষতা দূর করতে তাই দিনে দুবার করে সামান্য ঘি ঠোঁটে লাগাও।
সপ্তাহে একবার অবশ্যই ঠোঁট স্ক্রাব করা উচিত। ১/২ চামচ চিনি ও ১/২ চামচ মধু এই দুটি উপকরণ সমানভাবে মিশিয়ে হালকা করে এই মিশ্রণটি ঠোঁট দুটিকে স্ক্রাব করে নাও। এটি ঠোঁটের ডেড স্কিন দূর করে ঠোঁট কোমল রাখে ,ঠোঁটের কালো দাগ দূর করে।
অনেকেরই জিহ্বা দিয়ে ঠোঁট বারবার ভেজানো অথবা ঠোঁট কামড়ানোর অভ্যাস থাকে। যা খুবই খারাপ একটি অভ্যাস। এতে ঠোঁটের আর্দ্রতা নষ্ট হয় এবং ঠোঁট শুষ্ক হয়। এটি না করে নিয়মিত উন্নতমানের বিশ্বস্ত ব্র্যান্ডের লিপজেল বা লিপবাম ব্যবহার করা উচিত।
শীতকালে ত্বকের ময়েশ্চারাইজার কমে গেলে ত্বক শুষ্ক হয়ে থাকে । তাই শীতে খাদ্যাভ্যাসে কিছু পরিবর্তন আনতে হবে । যেমন :- কমলা , লেবু , পেয়ারা , পেঁপে , আমলকি , স্ট্রবেরি ইত্যাদি টক জাতীয় ফল এবং ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল ও সবজির পরিমান বাড়াতে হবে ।
আশা করি বন্ধুরা লেখাটি পড়ে তুমি নিশ্চই তোমার ঠোঁটকে সতেজ ও সুন্দর রাখতে পারবে। লেখাটি কাজে লাগলে তোমার প্রিয়জনদের শেয়ার করতে ভুলো না । আর আমাদের ফেসবুক পেজ এ সঙ্গে থেকো । তোমাদের জন্যই এরকম আরো অনেক লেখা নিয়ে আসবো আবার । খুব ভালো থেকো , সুস্থ থেকো ।