গৃহবন্দী দশায় একঘেয়ামি দূর করতে ১০টি কার্যকরী উপায়
সময় কাটছে না ? গৃহবন্দী ? কাজপাগল মানুষ হটাৎ করে ঘরের চার দেয়ালে বন্দি হলে যা হবার তাই। ভাগ্যিস স্মার্ট ফোন আর ইন্টারনেটটা আছে সঙ্গে। প্রথম একদিন ভালো লাগলেও দ্বিতীয় দিন থেকে একঘেয়ামি আসতে শুরু করবে। আবার একাধিক শিক্ষিত লোক একটা বাড়িতে তর্কযুদ্ধ থেকে হাতাহাতির সম্ভবনাও রয়ে যায়। ছাত্র -ছাত্রীদের ক্ষেত্রে দেরিতে হলেও বোর লাগতে বাধ্য। মোবাইল গেম আর টিভি, মাথা ব্যথা ও চোখ ব্যাথার কারণ হয়ে উঠবে। আসুন কয়েকটি বিষয় দেখে নিই যেখান থেকে খুব ভালো সময় কাটানোর আইডিয়াটি পেয়ে যেতে পারেন। খাতা আর কলম নিয়ে লিখে ফেলুন এর মধ্যে থেকে তিন চারটি প্ল্যান, আর আজ থেকেই লেগে পড়ুন। আর আমাদের কমেন্ট করে জানান নীচের কোন বিষয়টি আপনার কাছে পছন্দের মনে হচ্ছে –
সুখী মানুষের প্রথম প্রয়োজন সুখী পারিবারিক জীবন। যারা বাইরে কাজের জন্য পরিবারের সঙ্গে ভালো সময় কাটাতে পারেন না তারা পরিবারের সঙ্গে খেলা গল্প বিভিন্ন সৃজনশীল কাজে মনোনিবেশ করতে পারেন। সমবেত আবৃত্তি ,নাচ ,সংগীত বা হাতের কোনো কাজ – মিলেমিশে করতে শুরু করুন। দেখুন দিনগুলো মুখরিত হবে। সেইসঙ্গে পরস্পরের কাছে মন খুলে কথা বলার সুযোগ পাবেন। মনে রাখবেন ঝগড়ার মূল উৎস ‘ অভিযোগ ‘- এটি করতে যাবেন না।
জেনে রাখো : কোরোনা ভাইরাস (CoV) কি ? সতর্কতা ও সুস্থ থাকার উপায়
অনেকদিনের পর হারমোনিয়াম ,তবলা ,গিটার ,তানপুরা , বাঁশি যাই হোক না কেন ঝেড়ে মুছে নিয়ে বসুন বিছানায়। অনভ্যাসের হাস্যকর উপস্থাপনা দিয়ে শুরু করে দিন মনপ্রাণ খুলে শৈশবের স্মৃতিচারণা। আবৃত্তি করতে থাকুন প্রিয় কবিতাগুলি।
যারা বিভিন্ন ধরণের সৃজনশীল জিনিস বানাতে পারেন তারা বাড়ির বিভিন্ন জিনিসপত্র দিয়ে শুরু করে দিন হাতের কাজ , যেগুলি ব্যস্ততার কারণে অনেকদিন থেকে ভুলেই যেতে বসেছেন। আর হ্যাঁ এই কাজে নিজেকে সবার থেকে আলাদা করতে যাবেন না। পরিবারকে একটু কাজে সাহায্য করতে বলুন।
অনেক দিনের ইচ্ছে থাকলেও কতগুলি বই সেলফে জমে আছে – পড়াই হয়ে ওঠে নি। ব্যাস আর সময় নষ্ট না করে ধুলো ঝেড়ে পড়তে শুরু করে দিন আপনার প্রিয় বই। অনেকসময় পুজো সংখ্যাগুলি শেষ করা হয় না ,জমে থাকে প্রিয় লেখকের লেখাগুলি। সেগুলোর কথা মাথায় রাখতে পারেন।
আগে অনেক সিনেমা দেখতাম। এখন এসব কি আর সিনেমা ! বিস্ময় প্রকাশ না করে অনেক ভালো ভালো সিনেমা online/ offline বা টিভিতে দেখে ফেলুন।
ইচ্ছে থাকলেও বিস্তারিত লেখা গেল না। নীচের বিষয়গুলি সম্পর্কে Google , Youtube -এ search করে জেনে নিতে হবে আপনার প্রিয় বিষয়টি সম্পর্কে। আমাদের কমেন্ট বক্সে জানাতে পারেন আমরা বিস্তারিত link সহ প্রত্যুত্তর দেবার চেষ্টা করব।
(i) Audiobook / podcast শোনা
(ii) ebook পড়া ,pdf বই পড়া
(iii) online – এ শিক্ষামূলক কোর্স করা। যেমন – spoken english ,Audio – video editing , blogging , web designing , content writing , digital marketing ইত্যাদি
(iv) Website খোলা
(vi) Youtube channel খোলা
(vii) Blog লেখা
(viii) Online life changing course করা
(ix) গান, মিউজিক শেখা
‘ রান্না পারি না ‘ – বলে গিন্নির গালি খেয়েছেন ? হোটেল ভরসায় এতদিন চালিয়ে নিয়েছেন – আমার মতো এমন অবস্থা যদি হয়ে থাকে , তবে পরিবারের সাহায্য নিয়ে দুপুর কিংবা রাতের রান্নার দায়িত্ব নিন এক বেলার । তবে হ্যাঁ ইউটিউবে সেই রান্নাটি চুপ করে শিখে নিতে ভুলবেন না। অনেক মহিলা যারা কাজের চাপে কিছু করার এক্সপেরিমেন্ট করতে পারেন নি তাদের কাছে এ সময়গুলি কার্যকর হতেই পারে।
অনেক আত্মীয় বা পুরোনো বন্ধু আছে যারা আপনাকে টিটকারি দেয় না। দীর্ঘদিন পর দেখা হলেও আপনাকে ভীষণ বোঝে। কিংবা যাদের সঙ্গে কথা বললে মন ভালো হয়ে যায় -তাদের ফোন করুন। তবে হ্যাঁ ফোনের বালান্সটা চেক করে নিতে ভুলবেন না। পারলে আনলিমিটেড কল রিচার্জ করে নিন।
অনেকেই ভাবছেন বই লেখা ! যেন এক আশ্চর্য জিনিস। না না এই ইন্টারনেটের যুগে হার্ডকপি ,সফটকপি ,পিডিএফ ,ইবুক নানারকম বই-ই হতে পারে। বই মানেই যে গল্প উপন্যাস তা নয়। হাতের কাজ , গান , আবৃত্তি , অর্থনীতি , খেলা , রান্না , গৃহসজ্জা থেকে রূপচর্যা যে কোনো বিষয়ই লিখে ফেলতে হবে । মনে রাখুন মোবাইল হোক বা কাগজ ; দরকার শুধু লিখে ফেলা।
বাংলা অথবা ইংরেজি — হাতের লেখার জন্য লজ্জা পাচ্ছেন। আপনি জানেন কি মাত্র সাত দিনেই সুন্দর হাতের লেখা তৈরী করা যায়। ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য এই সময়টি সুবর্ণ সুযোগ । কাজে লাগাতে পারলে জীবনে সুন্দর একটা কাজ করা হবে । এক্ষেত্রে যদি হাতের লেখার পদ্ধতি না জানা থাকে তবে ইউটিউবে বাংলায় সার্চ করলেই পেয়ে যাবেন কয়েকটি কার্যকর পদ্ধতি।
এসব ছাড়াও শরীর ও মন সতেজ রাখার জন্য মেডিটেশন , যোগ-ব্যায়াম , প্রভৃতি করতে পারেন কিংবা তিন সপ্তাহের হাল্কা এক্সারসাইজের মাধ্যমে কমিয়ে নিতে পারেন বাড়তি তিন থেকে চার কিলো ওজোন ।
সময় বয়ে চলে সময়ের মতো । আমরাও এই দুঃসময় থেকে উদ্ধার পাবো শীঘ্রই । তাই অযথা গুজব আর নেতিবাচক কূটকচালি ছেড়ে আসুন জীবনটাকে সুন্দর ও আনন্দময় করে তুলি । মনে রাখতে হবে আর্থিক বিষয়ের চেয়ে পরমার্থিক বিষয়ই মানুষকে সুখী করে তোলে । এখানে সেই ১০টি পরমার্থিক বিষয়কেই তুলে ধরা হল।
আশা করি বন্ধুরা লেখাটি থেকে কিছুমাত্র উপকার পেয়েছেন । পাশেই শেয়ার করার ব্যবস্থা রয়েছে। এখুনি প্রিয়জনদের শেয়ার করে তাদের পাশে দাঁড়াতে পারেন । কোনো বিষয় জানতে হলে কমেন্ট করে জানান । আমাদের সাথে যুক্ত থাকতে আমাদের ফেসবুক পেজটি ফলো করুন। খুব ভালো থাকুন , স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন।
This Article Is Written By