আপনার ব্যক্তিত্ব ঠিক কীরকম ? জেনে নিন ব্যক্তিত্বের বিগ ফাইভ তত্ত্ব
একবার কখনো জানতে ইচ্ছে করে না আপনার ব্যক্তিত্ব ঠিক কীরকম ? ব্যক্তিত্বের বিগ ফাইভ থিওরির সাহায্যে সহজেই এটা করে ফেলতে পারেন আপনি নিজেই। টাকা-পয়সা-ধন-দৌলত থাকলেই সব হয় না । কিংবা রূপস বা রূপসী হলেই সবাই ভালোবাসে না । তাহলে মানুষ মানুষের মধ্যে কী খোঁজে – যা টাকা পয়সা রূপ যৌবনের উর্ধে। যা মানুষকে মানুষের মনের মধ্যে স্থান করে নিতে সাহায্য করে। আপনি হয়তো বলেবেন – ব্যবহার। ব্যবহারেই মানুষের পরিচয়। কথাটা আংশিক সত্য হলেও পুরোপুরি নয়। এবার জেনে নিন গবেষণায় উঠে আসা আসল তথ্যটি। হ্যাঁ আপনি ঠিকই ধরেছেন মানুষের মধ্যে মানুষ যা খোঁজে তা হল ব্যক্তিত্ব । পৃথিবীর প্রতিটি মানুষের নিজস্ব বলে যদি কিছু থাকে তা হল ব্যক্তিত্ব। আমাদের আজকের বিষয় হল ব্যক্তিত্বের বিগ ফাইভ তত্ত্ব । এই তত্ত্বটি পড়ে আজ আপনিও নিজের একটি ব্যক্তিত্বের পরীক্ষা কিন্তু করে ফেলতেই পারেন।
এবার তাহলে আসুন জেনে নিই ব্যক্তিত্ব সম্পর্কে গবেষকেরা কী তত্ত্বের কথা বলেছেন। তাদের মতে প্রথমে আমরা মানুষের ব্যক্তিত্বই খেয়াল করি। কেউ ভালো কেউ মন্দ , কেউ উদার কেউ বিনয়ী , কেউ উত্তেজিত কেউ শান্ত , কেউ শৃঙ্খল কেউ উশৃঙ্খল । এই সমস্ত বৈশিষ্ট্যের নিরিখেই আবিষ্কৃত হয় ব্যক্তিত্বের বিগ ফাইভ তত্ব ( Big Five Theory )
বিগ ফাইভ তত্ব আসলে কী ?
মানুষের ব্যক্তিত্বের বৈশিষ্ট্যকে আলাদা করে চিহ্নিত করার জন্য গবেষকেরা বিগ ফাইভ ( ‘Big Five’) নামে যে পাঁচটি মূল নির্ধারকের কথা বলেছেন তা-ই বিগ ফাইভ ( ‘Big Five’) তত্ব নামে পরিচিত।
বিগ ফাইভ মডেলের উৎপত্তিঃ-
বিগ ফাইভ তত্বের প্রথম উৎপত্তি আসলে একদিনে হয় নি। এর মূল অনেক গভীরে প্রথিত। 1800-এর দশকে ফ্রান্সিস গাল্টন আভিধানিক হাইপোথিসিস বলে সমস্ত ব্যক্তিত্বের মধ্যে কতগুলি মানকে নির্দিষ্ট করে চিহ্নিত করার কথা প্রথম প্রস্তাব করেন। 1936 সালে বিশিষ্ট মনোবিজ্ঞানী গর্ডন অলপোর্ট এবং তার সহকর্মী হেনরি ওডবার্ট একটি ইংরেজি অভিধানের মাধ্যমে এবং পৃথক পার্থক্য সম্পর্কিত 18,000 শব্দের একটি তালিকা তৈরি করে এই অনুমানটি দৃঢ় করেছিলেন। এই পদগুলির মধ্যে প্রায় 4,500টি ব্যক্তিত্বের বৈশিষ্ট্যগুলিকে প্রতিফলিত করে।
এরপর 1940-এর দশকে রেমন্ড ক্যাটেল এবং তার সহকর্মীরা তালিকাটিকে শুধুমাত্র 16 টি বৈশিষ্ট্যের একটি সেটের একটি প্রস্তাব পেশ করেন। 1949 সালে ডোনাল্ড ফিস্ক সহ বেশ কিছু অতিরিক্ত পণ্ডিত ক্যাটেলের কাজ বিশ্লেষণ করেছেন এবং তারা সবাই একই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছিলেন। আর এখানেই ব্যক্তিত্বের বিগ ফাইভ তত্ত্বের ভিত্তি মজবুত হয়ে ওঠে। ১৯৮১ সালে লুইস গোল্ডবার্গ প্রথম ‘Big five’ এই তত্ত্বকে চিহ্নিত করেন।
বিগ ফাইভ তত্ত্বটি দেখে নিই একবার :
এর পরে 1990 এর দশকে মনোবিজ্ঞানীগণ তত্ত্বটি ব্যখ্যা করে মানুষের ব্যক্তিত্বের ভিন্নতার পাঁচটি কারণ এবং দশটি মান চিহ্নিত করেছিল। 2007 সালে, কলিন ডিইয়ং ( ইয়েল ), লেনা সি. কুইল্টি ( সিএএমএইচ ) এবং জর্ডান পিটারসন ( টরন্টো ) এই উপসংহারে এসেছিলেন যে বিগ ফাইভের 10 টি দিক আলাদা জৈবিক স্তর থাকতে পারে। পাঁচটি কারণের প্রতিটি চিহ্নিত মানের দুটির সাথে আলাদা জৈবিক স্তর তুলনামূলকভাবে বিভক্ত। বিগ ফাইভ, ওরফে OCEAN (Openness, Conscientiousness , Extroversion, Agreeableness and Neuroticism) অর্থাৎ উন্মুক্ততা, বিবেক, বহিঃপ্রকাশ, সম্মতি এবং স্নায়বিকতা। এই কারণগুলি এবং মানগুলি নিম্নরূপ:
১। অভিজ্ঞতার জন্য উন্মুক্ততা : (উদ্ভাবক/কৌতূহলী বনাম সামঞ্জস্যপূর্ণ/সতর্ক)
২। বিবেক : (দক্ষ/সংগঠিত বনাম অতিরিক্ত/অযত্নবান )
৩। বহির্মুখিণতা : (উজ্জ্বল বনাম একাকী/সংরক্ষিত)
৪। সম্মতি : (বন্ধুত্বপূর্ণ/সহানুভূতিশীল বনাম সমালোচনামূলক/যৌক্তিক)
৫। স্নায়বিকতা : (সংবেদনশীল/স্নায়বিক বনাম স্থিতিস্থাপক/আত্মবিশ্বাসী)
তাহলে চলুন বিস্তারিত জেনে নিই ব্যক্তিত্বের বিগ ফাইভ তত্ত্ব অনুসারে এই পাঁচটি বিষয় আসলে কী বলছে :-
১) অকপটতা (Openness to Experience) :-
খুব সহজেই বোঝা যায় এই বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন মানুষ নতুনত্বের খোঁজে থাকে্ন এবং সৃজনশীল কাজকর্মের সঙ্গে যুক্ত থাকতে ভালোবাসেন। নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ নিতে পছন্দ করেন তারা। এদের কল্পনাশক্তি প্রবল, এবং নতুন কিছু শিখতে তারা বেশ আগ্রহ দেখায় । এরা সাধারণত কৌতূহলী কল্পনাপ্রবণ , শৈল্পিক , অনেক কিছুতে আগ্রহী , উত্তেজনাপূর্ণ বা উচ্ছ্বসিত স্বভাবের হন।
এই বৈশিষ্টের সঙ্গে ইতিবাচক ভাবনার সুন্দর সম্পর্ক আছে। যারা এই বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন মানুষ, তাদের মধ্যে একটি মুখরতা থাকে। এছাড়াও তারা তাদের আশেপাশের লোকজনের সাথে উদার এবং সম্প্রীতির সম্পর্ক বজায় তৈরি করতে পছন্দ করেন। এরা নিজেও খুশি থাকতে এবং অপরকেও খুশি রাখতে ভালোবাসেন। গবেষণাতে দেখা গেছে এই অকপটতার বিপরীতে দুশ্চিন্তা কিংবা এই সংক্রান্ত কোনো মনোবৈজ্ঞানিক ডিজঅর্ডারের সম্পর্ক পাওয়া যায়নি বটে, তবে অকপট মানুষ এর অন্যদিকে সামঞ্জস্যপূর্ণ এবং সতর্ক মানুষের অবস্থান থাকতে পারে বলে গবেষকদের অনুমান।
২) বিবেক (Conscientiousness) :-
এই বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন মানুষের মধ্যে দেখা যায় দক্ষ সংগঠক ও শৃঙ্খলাপরায়ণ হবার ক্ষমতা বেশি থাকে। এরা স্ব-শৃঙ্খলাবদ্ধ , কর্তব্যপরায়ণ এবং মনোযোগী হয়ে থাকেন। দেখা গেছে বিবেকবান মানুষেরা সাধারণত সফল হয়। গবেষণাতেও তাদের বৈশিষ্ট্যগুলির মধ্যে মেলবন্ধন দেখা গেছে। আবেগপ্রবণতা এরকম মানুষের মধ্যে কম দেখা যায়। লক্ষ্য এবং তা কত সময়ের মধ্যে বাস্তবায়ন করতে হবে সেই সম্বন্ধেও তারা সচেতন। এদের মধ্যে দেখা যায় কর্মদক্ষতা, অর্ডার, বা সাংগঠনিক দক্ষতা, কর্তব্যপরায়ণতা, বা অসতর্কতার অভাব, কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে অর্জন, স্ব-শৃঙ্খলা, ইচ্ছাকৃত এবং নিয়ন্ত্রিত কাজ করার প্রবণতা ইত্যাদি দেখা যায়। এই বৈশিষ্ট্য মানুষের আবেগ নিয়ন্ত্রণ, এবং নির্দেশের স্তরের সাথে সম্পর্কিত। উচ্চ বিবেকসম্পন্নকে প্রায়ই একগুঁয়ে এবং মনোযোগী বলে মনে করা হয়। এরা সবসময় প্রস্তুত, মনোযোগ দিতে রাজি, সময়সূচী অনুসরণ করা , নিখুঁতভাবে কাজ করতে পছন্দ করেন।
এর বিপরীতে যে বৈশিষ্ট্যগুলি লক্ষ্য করা যায় সেগুলি হল – অর্ডার পছন্দ না করা, জগাখিচুড়ি অবস্থা করা, অগোছালো কাজ করা , কোনো জিনিসকে তাদের সঠিক জায়গায় ফিরিয়ে দিতে ভুলে যাওয়া ,দায়িত্ব এড়িয়ে যাওয়া ইত্যাদি।
৩) বর্হিমুখীতা (Extroversion) :-
আমরা চারপাশের মানুষের মধ্যে বহির্মুখী ও অন্তর্মুখী এই দুই বিপরীত পার্সোনালিটির মানুষ দেখতে পাই। কেউ Extrovert আবার কেউ Introvert । এই বহির্মুখী স্বভাবের মানুষের মধ্যা সাধারণত যে বৈশিষ্ট্য দেখা যায় সেগুলি হল – চারপাশে মানুষের মধ্যে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করা, আগে থেকে সহজেই কথোপকথন শুরু করা, বিভিন্ন মানুষের সাথে কথা বলা, মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দু হতে আমার আপত্তি না থাকা , কোনো দলের প্রাণ হয়ে ওঠা ইত্যাদি।
আবার এর উল্টো দিকে দেখা যায় Introvert বা অন্তর্মুখী স্বভাবের মানুষ সাধারণত বেশি কথা বলে না , নিজেকে ব্যাকগ্রাউন্ডে রাখেন , নিজের দিকে মনোযোগ আকর্ষণ করতে পছন্দ করেন না , অপরিচিতদের চারপাশে নিজেকে শান্ত রাখতে ভালোবাসেন । তাদের সামাজিক সম্পৃক্ততার অভাবকে লাজুকতা বা হতাশা হিসাবে ব্যাখ্যা করা উচিত নয়; কিন্তু বহিরাগতদের তুলনায় তাদের সামাজিক বিশ্বের বৃহত্তর স্বাধীনতা হিসাবে. ইন্ট্রোভার্টদের কম উদ্দীপনা এবং এক্সট্রাভার্টদের তুলনায় একা বেশি সময় প্রয়োজন। আবার সব এক্সট্রোভার্ট বা বহির্মুখী মানুষ যে অনেক দ্রুত সবার সাথে মিশতে পারে এমনও নয়। কেউ কেউ হয়তো মানুষজনকে ঘিরে থাকতে পছন্দ করে, কিন্তু অপরিচিতদের সাথে শুরুতেই যথেষ্ট আপন বোধ করে না। এদের জন্যও আছে একটি নাম, এবং সেটি হলো অ্যাম্বিভার্ট (Ambivert)।
৪) সম্মতি (Agreeableness) :-
বিগ ফাইভ তত্ত্বের চতুর্থ তত্ত্বটি হল সম্মতি। এ বৈশিষ্ট্যের মানুষ সাধারণত প্রতিযোগিতার মনোভাব নিয়ে থাকে না। সবার মতামতের ভিত্তিতে চলে এবং মনোমালিন্য এড়িয়ে চলতে ভালোবাসেন। সম্মতিপূর্ণ ব্যক্তিরা বেশি বিশ্বাসী, স্নেহশীল, পরোপকারী এবং সাধারণত অন্যদের তুলনায় বেশি সামাজিক আচরণ প্রদর্শন করে। এই সামাজিক বৈশিষ্ট্যের মানুষ সহানুভূতিশীল, অন্যদের কল্যাণের জন্য উদ্বেগ দেখায়, যখন কেউ বিপদে পড়ে তখন তারাই প্রথমে এগিয়ে যাবার চেষ্টা করে। এদের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ যে সব বৈশিষ্ট্যগুলি দেখা যায় সেগুলি হল- এরা আস্থাশীল, বিনয়ী , ক্ষমাশীল, সরল , পরার্থপর ,সৌহার্দ্যপূর্ণ এবং সহনশীল এবং অন্যদের প্রতি সহানুভূতিশীল হন।
এর বিপরীতে অসম্মত বৈশিষ্ট্যের ব্যক্তিরা সাধারণত অন্যদের সাথে মিলিত হওয়ার উপরে নিজের স্বার্থকে স্থান দেন। তারা সাধারণত অন্যদের মঙ্গল নিয়ে উদ্বিগ্ন নন। এদের মধ্যে অন্য লোকেদের জন্য নিজেদের প্রসারিত করার সম্ভাবনা কম দেখা যায় । কখনও কখনও অন্যদের উদ্দেশ্য সম্পর্কে তাদের সংশয় তাদেরকে সন্দেহজনক, বন্ধুত্বহীন এবং অসহযোগী করে তোলে। অসম্মত ব্যক্তিরা প্রায়ই প্রতিযোগিতামূলক বা প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হন । এরা তাই তর্ক করতে এবং মানুষকে অবিশ্বাস করতে অভ্যস্ত । এরা অন্যদের প্রতি আগ্রহী নন। এরা প্রায়শই অপরকে অপমান করেন , এরা মানুষের সমস্যায় আগ্রহী নন, এরা অন্যদের জন্য উদ্বেগ বোধ করেন না।
৫) স্নায়বিকতা (Neuroticism) :-
এই বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন মানুষের ভেতরে নেতিবাচক অনুভূতি কাজ করে। এরা সাধারণত বিষন্নতায় ভোগেন। বদমেজাজ এবং মানসিক অস্থিরতায় থাকেন। এদের মধ্যে মানসিক ডিজঅর্ডারও পরিলক্ষিত হয়। মুড সুইং, দুশ্চিন্তা, হীনম্মন্যতা, বিরক্তি ইত্যাদি দেখা যায়। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা যায়, সময়ের সাথে এটা ঠিক হয়ে যেতে পারে। এছাড়া এই সমস্যা বেশি দেখা দিলে সাইকোথেরাপি বা কিছু অভ্যাসের মাধ্যমে স্বাভাবিক হওয়া যায়। এই ধরণের মানুষের সাধারণ যে বোইশিষ্ট্যগুলি দেখা যায় তা হল – এরা চাপে পড়ে যান , সামান্য জিনিস সম্পর্কে চিন্তা করা, সহজেই বিরক্ত হওয়া, ঘন ঘন মেজাজ পরিবর্তন হওয়া , নিজেকে ভিক্টিম বা লুজার ভাবা ইত্যাদি।
এর বিপরীতে দেখা যায় চাপ অনুভব না করা , জীবনকে বৃহত্তর ক্ষেত্রে বিচার করা, নিজের মেজাজ নিয়ন্ত্রণে রাখা, সহজে বিরক্তি না দেখানো, নিজেকে বিজয়ী কল্পনা করা ও সর্বদা পজিটিভ থাকা। এদের সকলেই পছন্দ করে থাকেন।
এই ছিল বিগ ফাইভ থিওরির মুল কথা । সকলেই যে একবাক্যে এই বিগ ফাইভ তত্ত্ব স্বীকার করে নেন তা কিন্তু নয়। একজন মানুষ শুধু অকপট কিংবা বহির্মুখী একেবারে এরকম বা ওরকম ঠিক তা হয় না। একজনের মাঝে অনেকগুলো বৈশিষ্ট্য বিভিন্ন মাত্রায় থাকতে পারে। কোনোটা প্রকট, কোনোটা মাঝারি, কোনোটা আবার একদমই কম। তাহলে নিশ্চয়ই এটি পড়ে নিজের একটি ব্যক্তিত্বের পরীক্ষা কিন্তু করে ফেলতে পারেন আপনিও ! এর বিপরীতে ওঠা বিতর্কগুলি বাদ দিলে এই তত্ত্ব আমাদের ব্যক্তিত্বের অনুধাবনে ও উন্নয়নে খুব কাজে লাগে একথা বলাই বাহুল্য। আজকের যুগে নিজের ব্যক্তিত্ব সম্পর্কে সচেতন হওয়া এবং তা নিয়ে নিরীক্ষা করা বেশ জরুরি। কারণ, এর ফলে নিজেকে তো চেনা যায়ই, এছাড়া এটি সঠিক পেশা বেছে নিতে, অন্যদের সাথে সম্পর্ক স্থাপনে, নিজের শক্তি এবং দুর্বলতা শনাক্ত করতে সাহায্য করে। যার ফলে দ্রুত আমরা বৃহত্তর জগতে নিজের দক্ষতার প্রমাণ দিতে সক্ষম হব ।
আশা করি আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটি খুব কাজে লাগবে। আমাদের ফেসবুক পেজে সঙ্গে থাকুন আর এরকম নানা জনপ্রিয় বিষয়ের ওপর আর্টিকেলটি
সংগ্রহ করতে থাকুন । লেখাটি শেয়ার করলে খুব খুশি হব। ভালো থাকবেন।