শরীর ও স্বাস্থ্য

কাশি দূর করার ঘরোয়া কিছু উপায়। Home Remedies for Cough

2 Minute Read

খুক খুক কাশি খুবই বিরক্তিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে। কারই বা সহ্য হয় একটানা খুসখুসে কাশি। শীত বা বসন্তের এই সময়টাতে অধিকাংশ মানুষই খুসখুসে কাশির যন্ত্রনায় ভোগেন। সাধারণত ঠান্ডা বা ফ্লুয়ের কারণে কাশি হয়ে থাকে। তবে অনেক ক্ষেত্রে অ্যালার্জি ,অ্যাজ্মা ,নিমোনিয়া , ধূমপান, শুষ্ক আবহাওয়ার কারণেও কাশি হয়ে থাকে। অনেক সময় দেখা যায় জ্বর , সর্দি ,কফ ও বুকের ঘরঘর কিছুই নেই তবুও খুসখুসে কাশি থেকে যায়। এই কাশিতে কফ বেরোয় না।

কিন্তু এই কাশি সহজে ছাড়তে চায় না দুই থেকে তিন সপ্তাহ পর্যন্ত এর রেশ থেকেই যায়। যা ভীষণ অস্বস্তিকর একটা পরিস্থিতি সৃষ্টি করে। খুসখুসে এই কাশির হাত থেকে রক্ষা পেতে প্রাকৃতিক কিছু উপায় অবলম্বন করা যেতে পারে। চলো জেনে নেওয়া যাক কাশি দূর করার ঘরোয়া কিছু উপায় :-

১. তুলসী পাতা :-

কাশির ক্ষেত্রে তুলসী পাতা হল মহৌষধ । খুসখুসে কাশি হলে প্রতিদিন তিন – চারটি তুলসী পাতা চিবিয়ে খেয়ে নাও। চায়ের সঙ্গে তুলসী পাতা কিংবা তুলসী পাতা থেঁতো করে এতে কয়েক ফোঁটা মধু মিশিয়ে খেতে পারো। দিনে দুই থেকে তিনবার খেলে কাশি দ্রুত কমে যাবে।

২. মধু :-

মধু কাশি কমাতে সাহায্য করে। গবেষণায় জানা যায় কখনও কখনও ওষুধ গুলোর চেয়েও ভালো কাজ করে এই মধু। মধু কফ কমাতেও সাহায্য করে। প্রতিদিন সকালে একচামুচ মধু দ্রুত খুসখুসে কাশি নিরাময় করে। মধু কাশি বা ঠান্ডার জন্য আদর্শ ওষুধ হলেও এক বছর বয়সের নিচে শিশুদের মধু না খাওয়ানোর পরামর্শ দিয়ে থাকে বিশেষজ্ঞরা।

মধু কাশি কমাতে সাহায্য করে

৩. আদা :-

আদা ছোট ছোট টুকরো করে তার সাথে লবন মিশিয়ে নিয়ে কিছুক্ষন পর পর খেতে হবে। কাশি কমাতে আদা ভীষণ কার্যকরী। এছাড়া চায়ে আদা মিশিয়ে খেলে খুসখুসে কাশি দ্রুত সেরে যায়।

৪. বাসক পাতা :-

বাসক পাতার রস জলে ফুটিয়ে সেবন করতে পারলে খুসখুসে কাশির নিরাময় হয়। দৈনিক সকালে এই জল খেতে হবে। বাসক পাতার রস প্রতিদিন সন্ধ্যায় খেলে ভালো। ২-৩ দিনেই এর খুব ভালো ফল পাওয়া যায়।

৫. লবঙ্গ :-

কাশি হলে মুখে একটা লবঙ্গ রেখে, মাঝেমধ্যে একটু চাপ দিয়ে সেই রস গিলে ফেলো। লবঙ্গের মধ্যে উপস্থিত অ্যান্টি – ব্যাক্টেরিয়াল প্রপাটিজ যে কোনো ধরণের জীবাণুকে মেরে ফেলতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। ফলে দ্রুত সুফল পাওয়া যায়।

৬. গার্গল করা :-

খুসখুসে কাশির সমস্যায় পড়লে আমাদের মাথা যন্ত্রনা গা -হাত পা ব্যাথা অনুভূত হওয়া তার সাথে গলা ব্যথা শুরু হয়। গার্গল বা কুলিকুচি করলে কাশি ও গলা ব্যথা দুই -ই কমে । সামান্য লবন নিয়ে হালকা কুসুম কুসুম গরম জলে গার্গল করলে খুবই দ্রুত কাশি কমে যায় এবং গলা ব্যথা দূর হয়। এটি কাশি কমাতে বেশ কার্যকর ঘরোয়া পদ্ধতি ।

৭. হালকা গরম জলে স্নান :-

প্রতিদিন হালকা গরম জলে স্নান করলে শুকনো কফ ও খুসখুসে কাশির উপদ্রব কমে যাবে।

আশা করি লেখাটি তোমাদের ভালো লাগবে। ভালো লেগে থাকলে শেয়ার করতে ভুলো না কিন্তু। তোমাদের এক একটি শেয়ার আমাদের কাছে উৎসাহের পুরস্কার স্বরূপ। এরকম আরো আরো লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেজ এ চলে এসো। আর কোন কোন বিষয়ের ওপর লেখা পড়তে চাও কমেন্ট করে জানাও। খুব ভালো থেকো আর সুস্থ থেকো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *