মোটিভেশন

স্টিভ জবসের জীবনী, বিখ্যাত উক্তি ও বাণী সমূহ । Steve Jobs Quotes Bengali

6 Minute Read

স্টিভ জবসের বিখ্যাত উক্তি । Steve Jobs Quotes Bengali

পৃথিবীতে এমন কতগুলো মানুষ আবির্ভুত হন যাদের জন্য সভ্যতার চাকায় গতির সঞ্চার হয় , তাদের মাঝে স্টিভ জবস অন্যতম একজন । কেননা আধুনিক কম্পিউটার ও প্রযুক্তির যুগে “অ্যাপল” এর প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে আমরা সবাই স্টিভ জবস এর কৃতিত্বের কথা জানি । ব্যবসায়িক সাফল্যের পাশাপাশি তিনি এক মহান দার্শনিক হিসেবেও পরিচিতি পেয়েছিলেন। স্টিভ জবস এর পুরো নাম স্টিভেন পল জবস । তিনি ১৯৫৫ সালে ২৪ ফেব্রুয়ারি ক্যালিফোর্নিয়ার স্যানফ্রান্সিসকোতে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর মায়ের নাম জোন স্কিবল ও পিতা সিরিয়ান ইমিগ্র্যান্ট আবদুল ফাত্তাহ জান্দালি। অবিবাহিত এবং স্টুডেন্ট বাবা-মার সন্তান স্টিভ জবসকে জন্মের পরপরই দত্তক দিয়ে দেয়া হয় পল ও ক্লারা জবস দম্পতির কাছে। পরে দত্তক পিতা-মাতার দেয়া ‘স্টিভ জবস্’ নাম নিয়ে তিনি হন জগৎবিখ্যাত। তিনি ছিলেন আমেরিকান একজন উদ্ভাবক, ডিজাইনার; এবং কম্পিউটারের সহ উদ্যোক্তা, সিইও ও চেয়ারম্যান। “অ্যাপল” এর বিশ্বখ্যাত পন্য আইপড, আইপ্যাড, আইফোন, আইম্যাককে ধরা হয় বর্তমান আধুনিক প্রযুক্তির শুরুর ধাপ হিসেবে। এর সবগুলোর পেছনেই ছিল তাঁর সরাসরি অবদান রয়েছে। তাই তাঁকে পার্সোনাল কম্পিউটার বিপ্লবের পথিকৃৎ বলা হয়।

তিনি স্টিভ ওজনিয়াক এবং রোনাল্ড ওয়েন -এর সাথে ১৯৭৬ খ্রিষ্টাব্দে “অ্যাপল কম্পিউটার” প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৮৫ সালে তিনি “অ্যাপল” থেকে বের হয়ে পিকচার এ্যানিমেশন স্টুডিও এবং NeXT কম্পিউটার প্রতিষ্ঠা করেছিল। এটি কখনও বিশেষভাবে সফল ছিল না, ব্যাপক বিক্রয় লাভ করতে ব্যর্থ হয়েছিল। ১৯৯৬ সালে অ্যাপল কম্পিউটার নেক্সট কম্পিউটারকে কিনে নিলে তিনি ১১ বছর পর আবার সিইও হিসেবে অ্যাপলে ফিরে আসেন। তিনি ১৯৯৫ সালে টয় স্টোরি নামের অ্যানিমেটেড চলচ্চিত্র প্রযোজনা করেন। স্টিভ জবস দীর্ঘদিন অগ্ন্যাশয়ের ক্যান্সারে ভুগে ২০১১ সালের ৫ অক্টোবর মৃত্যুবরণ করেন। ২০০৫ সালে আমেরিকার স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটির সমাবর্তন অনুষ্ঠানে তিনি সকল গ্রাজুয়েট স্টুডেন্টদের উদ্দেশ্যে বিশেষ ভাবে একটা কথা বলেছিলেন, ‘ stay hungry, stay foolish.’ পৃথিবী জুড়ে লাখো মানুষের হৃদয় ছুঁয়ে গিয়েছিল তাঁর বক্তৃতা টি। আজকের প্রযুক্তিনির্ভর মানুষ প্রতিষ্ঠার ইঁদুর দৌড়ে ছুটছে তো ছুটছেই । মানুষ যন্ত্রসভ্যতার ভীড়ে চাপা পড়ে ভুলে যেতে বসেছে জীবনের মানে , জীবনের সার্থক রূপায়ণ কীভাবে কোথায় পাওয়া যাবে । তাই এক সফল সংগ্রামী উচ্চাকাঙ্ক্ষী মানুষ দার্শনিক স্টিভ জবসের উপলব্ধির মূল্যবান কথাগুলি আজকের আধুনিক মানুষের জীবনবোধকে পাল্টে দিতে পারে । সুন্দর শান্ত উদার জীবনের জন্য স্টিভ জবস এর উক্তিগুলি পড়ে নেওয়া প্রয়োজন । আসুন তাহলে একবার দেখে নিই স্টিভ জবসের অমূল্য সেই উক্তি বা বাণীগুলি:-

ব্যবসা ও উদ্ভাবন নিয়ে স্টিভ জবসের বিখ্যাত কয়েকটি বাণী:

১.”যখন আপনি উদ্ভাবন করবেন, তখন আপনার কিছু ভুলও হবে। সবচেয়ে ভাল হয় যদি সেগুলো দ্রুত স্বীকার করে নেন, এবং সাথে সাথে আপনার অন্য উদ্ভাবনগুলো আরো উন্নত করার কাজে লেগে যান।”- স্টিভ জবস

২.”ব্যবসায় চমৎকার জিনিসগুলো কখনোই একজন একক ব্যক্তি করেন না। মানুষজন দলবদ্ধভাবে সেগুলো করেন।”- স্টিভ জবস

৩.”উদ্ভাবনই একজন নেতা ও একজন অনুসরণকারীর মধ্যে পার্থক্য তৈরি করে দেয়।”– স্টিভ জবস

৪.“ ব্যবসার জন্য আমার মডেল হচ্ছে বিটলস। তারা চারজন ছিলেন যারা একে অপরের নেতিবাচক দিকগুলো সামলে রাখতেন। তারা একে অপরের ভারসাম্য বজায় রাখতেন এবং একক হিসেবে নয় সম্পূর্ণ হিসেবে তারা ছিলেন অসাধারণ। আমিও ব্যবসাকে ঠিক ওইভাবে দেখি: ব্যবসাতে বড় বড় কাজগুলো কখনও একজন ব্যক্তি একা করেন না। ওই কাজগুলো দলবদ্ধভাবে করা হয়।

৫.”একটি নির্দিষ্ট ব্যবহারকারী গোষ্ঠীকে ফোকাস করে পণ্যের ডিজাইন করা সত্যিই কঠিন। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই অনেকেই বুঝে উঠতে পারেন না তারা কী চান যতক্ষণ না তাদের সামনে একটি পণ্য হাজির করা হয়।

৬.“ আমার কাছে কম্পিউটার হচ্ছে এমন একটি অসাধারণ টুল যা আমরাই তৈরি করেছি। এটা মনের বাইসেকেলের সমতূল্য বললেও ভুল হবে না।

৭.”উদ্ভাবনের চিন্তা হাটে-বাজারে দাঁড়িয়েও আসতে পারে, রাত-দুপুরে বন্ধুর সঙ্গে কথা বলার সময়ও আসতে পারে। সেটা নিয়ে জনাদশেক বন্ধু, সহকর্মী আলোচনায় বসে যান, বের হয়ে আসবে চিন্তায় কী খুঁত আছে। এটা সবসময় হুটহাট আলোচনা যখন আপনার মাথায় দারুণ জিনিসটা উদ্ভাবনের চিন্তা মাথায় আসবে। হাজারবার হাজারখানেক বিষয়কে প্রত্যাখ্যান করে শেষ পর্যন্ত সঠিক সিদ্ধান্তটা নেয়া সম্ভব। আমরা সবসময়ই বাজারে নতুন পণ্য আনতে চাই। আগে তো চিন্তার অপ্রয়োজনীয় অংশগুলো বাদ দিয়ে দিতে হবে।

৮.”নতুন নতুন কোম্পানি প্রতিষ্ঠা ইন্টারনেটের মূল সমস্যা নয়, বরং বেশির ভাগ মানুষ এর বাইরে আছে সেটাই চিন্তার বিষয়। অনেক সময় আছে যখন হতাশা আর কষ্ট এসে ঘিরে ধরে, যখন আপনি হয়তো কাউকে চাকরিচ্যুত করছেন বা কোনো কাজ পরিত্যাগ করছেন; সে সময়ই আপনি আপনার মূল্য বুঝতে পারবেন, জানতে পারবেন আপনার নিজেকে। এসব লোক যখন অনেক সম্পদ কামিয়ে ইন্টারনেট ছেড়ে চলে যাচ্ছে, তখনই তারা তাদের অদেখা জীবনের অনেক অমূল্য অভিজ্ঞতা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এটা (ইন্টারনেট) না থাকলে তারা তাদের অর্জিত সম্পদের মূল্য বুঝতে পারবে না।

জীবন নিয়ে স্টিভ জবস এর বিখ্যাত উক্তি :

৯.”কখনো কখনো জীবন আপনার মাথায় ইট দিয়ে আঘাত করবে। তখন বিশ্বাস হারাবেন না।”– স্টিভ জবস

১০.’আপনার সময় সীমিত, সুতরাং অন্য কারো জীবন যাপন না করে বরং নিজের জীবনটাই যাপন করুন।

১১.”আমার বয়স যখন ১৭, তখন কোথায় যেন পড়েছিলাম- ‘যদি প্রত্যেকদিন এমনভাবে কাটাও যেন আজই তোমার জীবনের শেষ দিন, একদিন না একদিন ব্যাপারটা সত্যি হবেই!’ এই উক্তিটি আমাকে গভীরভাবে অভিভূত করলো। আমি বিগত তেত্রিশ বছর প্রতিদিন সকালে আয়নার দিকে তাকিয়ে নিজেকে বলি, “তুমি আজ যা যা করবে প্ল্যান করেছ, আজ যদি তোমার জীবনের শেষ দিন হতো তবুও কি তাই করতে?’
যদি দেখি যে বেশ কয়দিন হয়ে যাচ্ছে আমি উত্তরে নিজেকে “হ্যা” বলতে পারছি না, বুঝতাম একটা কিছু পরিবর্তন করা দরকার শীঘ্রই!

স্টিভ জবসের অনুপ্রেরণা মূলক কয়েকটি উক্তি :

১২.”বিশ্বের সেরা ধনী হওয়া আমার কাছে মুখ্য বিষয় নয়, …বরঞ্চ রাতে ঘুমোতে যাওয়ার সময় নিজেকে যেন বলতে পারি যে, হ্যাঁ সত্যিই আমি দারুণ কিছু করেছি।

১৩.”আমার মন্ত্রগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে— মনোযোগ ও সারল্য। জটিল থেকেও জটিলতর হতে পারে সারল্য। নিজের চিন্তাকে সহজ-সরল করার জন্য কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। এর ফল পাওয়া যাবেই। আর তখনই পর্বতপ্রমাণ বাধাও ডিঙ্গানো যায়।

১৪.”মানুষের সঙ্গে সহজ ব্যবহার করা আমার কাজ নয়। আমার কাজ হচ্ছে, মানুষকে দিয়ে আরও ভাল কিছু করানো।

১৫.”নিজের মন আর অনুভূতির কথা শোনার সাহস রাখবেন। ওরা ঠিকই জানে আপনি আসলে কী হতে চান। বাকি সব কিছুই গৌণ।

১৬.”ক্ষুধার্ত থেকো, বোকা থেকো।”(“The Whole Earth Catalog” পত্রিকায় দেখা বার্তা, যা স্টিভ জবস এক বক্তৃতায় স্মরণ করেছেন)

১৭.”এই মুহূর্তে আপনিই হলেন নতুন। কিন্তু সেদিন খুব বেশি দূরে নয় যেদিন আপনি বুড়িয়ে যাবেন এবং দূরে সাফ হয়ে যাবেন। খুক বেশি নাটকীয়তার জন্য দু:খিত, কিন্তু এটা পুরোপুরি সত্য।

১৮.’‘অসাধারণ সব কাজ করুন এবং সামনে এগিয়ে যান। আমি মনে করি আপনি যদি এমন কোনো কাজ করেন যা প্রশংসা কুড়ায় তাহলে আপনা উচিত আরো ভালো কোনো কাজ করা। একটি প্রশংসার কাজ নিয়েই বেশি দিন পড়ে থাকবেন না। সবসময়ই এরপর কী করা যায় তা নিয়ে ভাববেন।

১৯.”কখনোই নিজের মতামতকে অন্যের মতামত দ্বারা প্রভাবিত হতে দেবেন না এবং আপনার ভেতরের স্বরটি থেকে অন্যের আওয়াজ বের হতে দেবেন না। আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো নিজের হৃদয় এবং স্বজ্ঞাকে অনুসরণের সাহস ধারণ করুন।

২০.”জীবন নিয়ে সন্তুষ্ট হওয়ার একমাত্র উপায় হচ্ছে চমৎকার কোনো কাজ করা। আর কোনো কাজ তখনই চমৎকার হবে যখন আপনি আপনার কাজকে ভালোবাসবেন। যদি এখনো আপনার ভালোবাসার কাজ খুঁজে না পান তাহলে খুঁজতে থাকুন। অন্য কোথাও স্থায়ী হয়ে যাবেন না।

২১.”আপনার জীবনের প্রতিটি মুহূর্তই আপনার ভবিষ্যতকে রুপদানে কাজ করে। সুতরাং জীবনের প্রতিটি মুহূর্তকেই সঠিকভাবে কাজে লাগানোর চেষ্টা করুন।” – স্টিভ জবস

২২.“ আপনি যদি সৃজনশীল পথে আপনার জীবন কাটাতে চান, একজন শিল্পী হিসেবে, তাহলে আপনার পেছনের দিকে বেশি তাকানোটা ঠিক হবে না। আপনার মধ্যে ইচ্ছাশক্তি থাকতে হবে, যার মাধ্যমে আপনি যা ছিলেন এবং আপনি যা করেছেন তা যেন ছুড়ে ফেলে দিতে পারেন।

২৩.”দুটি বিন্দুকে সামনের দিকে তাকিয়ে জোড়া লাগানো সম্ভব নয়। পেছনের দিকে তাকিয়েই তা করা যায়। আপনাকে বিশ্বাস রাখতে হবে যে, বিন্দুগুলো ভবিষ্যতের কোনো একসময় মিলে যাবে। আপনাকে কিছু জিনিসে বিশ্বাস করতেই হবে— নিজের ক্ষমতা, গন্তব্য, জীবন, কর্ম। এ বিশ্বাস কোনোদিন আমাকে ছেড়ে যায়নি। আমার জীবন বদলে দিয়েছে।

২৪.”আমি অনেক কিছুই না কিনে বসে থাকি, কারণ আমার কাছে সেগুলো হাস্যকর মনে হয়েছে।

২৫.”সক্রেটিসের সঙ্গে একটি সন্ধ্যা কাটানোর জন্য আমি আমার সব প্রযুক্তি দিয়ে দিতে রাজি।

২৬.”অ্যাপল থেকে চাকুরীচ্যুত হওয়ার ঘটনা ছিল আমার জীবনে ঘটে যাওয়া শ্রেষ্ঠ ঘটনা। আমার জীবনের সেরা একটি সময়ে প্রবেশের পথ করে দিয়েছিল এই ঘটনাটি।

২৭.যদি আপনি কিছু করেন এবং এটি বেশ ভাল কিছুতে রূপান্তরিত হয়, তবে আপনার অন্য কোনও দুর্দান্ত কাজ করা উচিত, খুব বেশি দিন এটির মধ্যে থাকা উচিত নয়। এরপরে কী আছে তা বের করুন।

২৮.”যে লোকেরা ভাবতে পারে যে তারা পৃথিবী বদলে দিতে পারে, তারা সেটাই করে দেখায়।

মৃত্যু নিয়ে স্টিভ জবস এর বিখ্যাত বাণী :

মৃত্যু নিয়ে স্টিভ জবস এর বিখ্যাত বাণী

২৯.”মৃত্যু আছে বলেই জীবনটাকে আমি অনেক সহজভাবে নিতে পারি। পৃথিবীতে এসেছিলাম একদম নগ্ন হয়ে। ফিরেও যেতে হবে তেমনি খালি হাতে। হারানোর কিছুই নেই আমাদের। তাহলে কেন খামাখা মানুষের প্রত্যাশার চাপ বয়ে বেড়ানো? তোমার হৃদয় যা বলে, মন যা চায়, সেটাই তো সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ!

৩০.”যেকোনো সময় মরে যেতে পারি। এ চিন্তাই আমাকে জীবনের বড় বড় সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করেছে। বাহ্যিক সব আকাঙ্ক্ষা, অহঙ্কার, লজ্জার ভয়, হেরে যাওয়ার ভয়— সবই তুচ্ছ হয়ে যায় মৃত্যুর মুখে, থেকে যায় শুধু যা সত্যিকারের প্রয়োজন।

৩১.”আমি মনে করি মৃত্যু হচ্ছে জীবনের সবচেয়ে অসাধারণ উদ্ভাবন। এটি জীবন থেকে পুরোনো ও সেকেলে জিনিস থেকে মুক্ত করে।

৩২.”পৃথিবীতে সবচেয়ে দামী বিছানা কি জানেন? তাহলো- হাসপাতালের মৃত্যু শয্যা ৷ আপনাকে নিয়ে ঘুরে বেড়ানোর জন্য আপনি একজন গাড়ি চালক রাখতে পারেন। আপনার নিযুক্ত কর্মচারীরা আপনার জন্য অনেক টাকা আয় করে দিবে। কিন্তু এটাই সবচেয়ে বড় সত্য গোটা পৃথিবী চষে, পৃথিবীর সব সম্পদ দিয়ে দিলেও একজন মানুষও পাবেন না যে আপনার রোগ বয়ে বেড়াবে।

৩৩.”আমাদের সকলের কাছে সবচেয়ে মূল্যবান জিনিসটি হ’ল সময়।

আশা করি স্টিভ জবসের বিখ্যাত উক্তি ও বাণী লেখাটি ভালো লাগবে। ভালো লেগে থাকলে বাকিদের সাথে শেয়ার করো। নিয়মিত লেখার আপডেট পেতে আমাদের ফেসবুক পেজটি ফলো করো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *