শিক্ষা ও জীবন

নোবেল জয়ী অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জানা-অজানা গল্প

6 Minute Read

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর থেকে শুরু করে অমর্ত্য সেন এবং ২০১৯ সালে আর একজন বাঙালি কৃতি সন্তান অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায় বিশ্বের দরবারে ভারতীয় তথা বাঙালি জাতিকে আরো একবার শ্রেষ্ঠত্বের আসনে বসালেন — তাঁর নোবেল জয়ের মধ্য দিয়ে ৷ পৃথিবী জুড়ে যে দারিদ্র্য –কীভাবে সেই দারিদ্র্য দূর করা যায় , তার উপর দীর্ঘদিন গবেষণা চালানোর মধ্য দিয়ে অর্থনীতিতে একটি নতুন তত্ত্বের আবিষ্কার করলেন ৷ যা ‘POOR ECONOMICS‘ নামক বই আকারে গোটা বিশ্বের কাছে আলোড়ন সৃষ্টি করে ৷ সেই তত্ত্বের সঠিক প্রয়োগে চিরতরে দরিদ্রতা নামক অভিশাপ থেকে পৃথিবীকে মুক্ত করা যেতে পারে ব’লে অন্যান্য অর্থনীতিবিদদের ধারণা ৷ এ বিষয়ে আমরা পরে জানবো ৷ আগে বরং আমরা অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের অন্যদিকগুলোর সম্পর্কে জেনে নেই ৷

জন্ম ও পরিচয় : –

১৯৬১ সালের ২১ শে ফেব্রুয়ারী মুম্বাই-এ অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্ম ৷ তাঁর বাবার নাম দীপক বন্দ্যোপাধ্যায় ও মা নির্মলা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ জন্ম মুম্বাই-এ হলেও , তাঁর পৈতৃক ভিটে কলকাতা (বালিগঞ্জের অনির্বান রোড ) ৷ তাঁর দাদু ছিলেন , বালিগঞ্জ গভর্নমেন্ট স্কুলের প্রধান শিক্ষক ৷ তাঁর বাবা ছিলেন , কলকাতা প্রেসিডেন্সি কলেজের অর্থনীতির অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান ৷ তাঁর মা ছিলেন অর্থনীতির অধ্যাপক ৷ সুতরাং ছোটবেলা থেকেই অর্থনীতির আবহে তাঁর বড়ো হয়ে ওঠা ৷

তাঁর শিক্ষা জীবন : –

কলকাতা সাউথ পয়েন্ট স্কুলে তাঁর স্কুল জীবন শুরু হয় ৷ স্কুল জীবন শেষ হবার পর, কলকাতা প্রেসিডেন্সি কলেজে তাঁর কলেজ জীবন শুরু হয় এবং ১৯৮১ সালে কলেজ শেষ হবার পর দিল্লির উদ্দেশ্যে পাড়ি দেন ৷ সেখানে জে এন ইউ (JNU) তে ভর্তি হন ৷ ১৯৮৩ সালে JNU তে তাঁর শিক্ষা সম্পন্ন হবার পর ১৯৮৮ সালে হার্বার্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতির উপর গবেষণার জন্য চলে যান ৷ তাঁর গবেষণা পত্রটির নাম ছিল— ( এসে ইন ইনফরমেশন ইকোনমিক্স ) ৷ তারপর থেকে তাঁকে আর পেছন ফিরে তাকাতে হয় নি ৷ তাঁর গবেষণার মধ্যদিয়ে সৃষ্টি করলেন অর্থনীতির উপর এক আশ্চর্য তত্ত্ব ৷ যা গোটা পৃথিবীকে চমকে দিলেন ৷

অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের অজানা কাহিনী : –

তাঁর কলেজের সহপাঠি অভিজিৎ পাঠকের কাছ থেকে জানা গেল , অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের অজানা গল্প ৷ তাঁদের দুজনের নাম কাকতলীয়ভাবে যেমন এক , তেমনি তাঁরা দুজনই ছিলেন পড়াশুনো এবং রেজাল্টের দিক থেকেও ক্লাসে প্রথম ও দ্বিতীয় স্থানের অধিকারী ৷ অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় কলেজের বন্ধুদের কাছে ‘ঝিমা’ নামে পরিচিত ছিলেন ৷ আরো জানা যায় যে , অর্থনীতির ছাত্র হলেও অংকে ছিল তাঁর অগাধ পান্ডিত্য ৷ কিন্তু আশ্চর্য্যের বিষয় হল —পাশাপাশি তিনি ছিলেন , ইংরেজি সাহিত্য , পাশ্চাত্য সংগীত ও ইতিহাসের প্রতি গভীর অনুরাগী ৷ তাঁর হাতের লেখা ছিল ভীষণ রকম বাজে ৷ কলেজে সবাই যেখানে শার্ট-প্যান্ট পড়ে আসতো , সেখানে তিনি কলেজে আসতেন প্যান্টের সঙ্গে ফুল পাঞ্জাবি এবং ঝোলা ব্যাগ কাঁধে ৷ যা বাকি ছাত্রদের সঙ্গে খুবই বেমানান লাগতো ৷ তাছাড়া তিনি বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে এবং বিভিন্ন রকম রান্না করতে ভালোবাসতেন ৷
যার কিছুটা আমরা জানতে পেয়েছিলাম , ২০১২ সালে সেরার সেরা বাঙালি সম্মান অনুষ্ঠানে ৷ তিনি নিজে মুখেই সে কথা বলেছিলেন ৷ এছাড়াও ফুটবলে তাঁর অগাধ প্রেম এবং JNU তে পড়ার সময় , রাজনৈতিক চক্রান্তে তাঁকে তিহার জেলে দশদিন কাটাতে হয়েছিল ৷ একথা তিনি নিজেই একসময় সাক্ষাত্কারে বলেছিলেন ৷

বিবাহিত জীবন :-

অরুন্ধতী তুলি (Arundhati tuli) -র সাথে তাঁর বিবাহ হলেও , ব্যক্তিগত কারনে একটা সময় তাঁদের বিবাহ বিচ্ছেদ হয় ৷ ২০১৫ সালে এস্থার ডাফলো (Esther Daflo) এর সাথে অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিয়ে হয় ৷ ডাফলোর জন্ম ১৯৭২ সালে প্যারিস শহরে ৷ তিনি ছিলেন , অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের অধীনে অর্থনীতি বিষয়ে গবেষণার ছাত্রী ৷ প্রসঙ্গত এখানে বলে রাখা ভালো — অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের যে নোবেল জয় , এই নোবেল জয়ের ভাগীদার কিন্তু তাঁর স্ত্রী এস্থার ডাফলো-ও ৷ অর্থাৎ যৌথভাবে অর্থনীতিতে স্বামী-স্ত্রী ২০১৯ এ নোবেল জয় করলেন ৷ এও এক ইতিহাস ৷

অর্থনীতি বিষয়ে তাঁর লেখা বই :-

খুব ছোটবেলা থেকে মানুষের দরিদ্রতা তাঁকে ভীষণ ভাবাতো ৷ সাউথ পয়েন্ট স্কুলে পড়ার সময় তিনি দেখতেন , বস্তির বাচ্চাদের শিক্ষাহীন জীবন , তাদের দুর্দশা ৷ সেখান থেকেই তাঁর ভাবনার আরম্ভ ৷ তাই শিক্ষাজীবনে অনেক কিছুর মাঝে তিনি বেছে নিলেন অর্থনীতি ৷ যার মাধ্যমে গবেষণার দ্বারা তিনি , এই দরিদ্র্যতা নামক অভিশাপ থেকে মানুষকে মুক্তি দিতে পারেন ৷ ফলশ্রুতিতে দীর্ঘ অধ্যাবসায় ও গভীর ভাবনার দ্বারা তিনি একে একে লিখে ফেললেন অর্থনীতির উপর অনেক তত্ত্বমূলক বই ‘POOR ECONOMICS‘ , ‘GOOD ECONOMICS FOR HARD TIMES‘ , ‘MAKING AND WORK‘ প্রভৃতি ৷ ‘POOR ECONOMICS‘ বইটি গোল্ডম্যান স্যাক্স বিজনেস বুক সম্মানে ভূষিত হয়েছিল। এছাড়াও Economic Devolopment এর উপর অসংখ্য ছোট ছোট গবেষণাধর্মী লেখা তিনি লিখেছেন ৷ তবে এখানে জেনে রাখা ভালো , তাঁর লেখা প্রতিটা বই অর্থনীতির উপর হলেও , আসলে প্রতিটা লেখায় রয়েছে অসাধারন কিছু গল্প ৷ সেই গল্পের উপর তাঁর অর্থনীতির তত্ত্ব প্রয়োগ করেছেন ৷ পরবর্তীতে আমরা সে সব জানবো ৷

দরিদ্র্যতার উপর তাঁর তত্ত্বমূলক কিছু কথা :-

  • ক) দরিদ্রতা দূরীকরণের ক্ষেত্রে যে সব প্রতিশ্রুতির বন্যা বয়ে যায় , আসলে সেভাবে দরিদ্রতাকে দূর করা যায় না ৷ গরিবি দূর করতে হলে , গরিব মানুষের যে দৈনন্দিন চিত্র , সেগুলোকে একটু গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করলেই , তা থেকে অনেক কিছু বোঝা যায় ৷ সেখানেই লুকিয়ে থাকে দরিদ্রতা মোচনের সূত্র ৷
  • খ) অনেক সময় আমরা গরিব মানুষকে যা সাহায্য করবো ভাবি , সে গুলো আসলে সাহায্য নয় ৷ আবার অনেক সময় তাদেরকে আমরা যেগুলো সাহায্য করি না , সেগুলোই আসলে সাহায্য ৷
  • গ) একটা গরিব এলাকায় সমীক্ষা করলে দেখা যাবে , তারা সকলেই হয়তো গরিব ৷ কিন্তু তাদের চাহিদা ভিন্ন ৷ কিন্তু দারিদ্র্য দূরীকরণের সব উপাদান একসাথে প্রয়োগ করা সম্ভব নয় ৷ কেননা তাতে যে অর্থনৈতিক পরিকাঠামো প্রয়োজন , তার যোগান কোনো দেশেরই নেই ৷ সুতরাং দরিদ্রতা দূরীকরণের ক্ষেত্রে , গরিব মানুষের ভিন্ন চাহিদাগুলো মার্ক করে , তারপর আস্তে আস্তে পদক্ষেপ নিতে হবে ৷
  • ঘ) যেভাবে একটি দেশের দরিদ্রতা দূর করা যাবে ৷ অন্য একটি দেশের ক্ষেত্রে সেই একই সূত্র ব্যবহার করে সেই দেশের গরিবী দূর হবে না ৷ কেননা বুঝতে হবে প্রতিটা দেশের সামাজিক অবস্থান ভিন্ন ৷ তবে দরিদ্রতা দূরীকরণের ক্ষেত্রে আগে বর্ণ বৈষম্য ঘোচাতে হবে ৷

‘POOR ECONOMICS’ এর তত্ত্ব : –

অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়কে একটা ব্যাপার সারা পৃথিবীর কুর্নিশ জানানো উচিত ৷ বিগত সময়ে যেসব অর্থনীতিবিদ তাঁদের তত্ত্ব আবিষ্কার করেছেন , তা বেশিরভাগই বইয়ের মধ্যে লিপিবদ্ধ থেকে গেছে ৷ বাস্তবিকভাবে সমাজে তার প্রয়োগ সেভাবে হয় নি ৷ কিন্তু অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের যে অর্থনীতির তত্ত্ব , তা বইয়ের পাতায় শুধু আবদ্ধ থাকে নি ৷ পৃথিবীর ১৮ টি দেশের প্রত্যন্ত গরিব এলাকায় মোট ৪০০ জন অর্থনীতিবিদ এই তত্ত্বের উপর কাজ করছেন ৷ এটা সত্যিই বাঙালি এবং ভারতীয় হিসেবে , আমাদের গর্বের বিষয় ৷

কীভাবে কাজ করছেন তারা ?একটু গল্পের মতো করে জেনে নিই বরং ৷ তাতে অভিজিৎ বাবুর তত্ত্বের বিষয়েও আমাদের কিছুটা ধারণা আসবে ৷ মরক্কো দেশে এক গবির ব্যক্তির কাছে প্রশ্ন করা হল , তুমি টাকা পেলে কী করবে ? উত্তরে সে বলেছে , আমি খাবার কিনবো ৷ তাকে আবার প্রশ্ন করা হল ৷ যদি তোমাকে আরো বেশি টাকা দেওয়া হয় , তবে কী করবে ? উত্তরে সে বলেছিল , তাহলে তখন আমি আরো অনেক দামি ও সুস্বাদু খাবার কিনব ৷ কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে দেখা গেল , ব্যক্তিটি যে ঘরে থাকে , সে ঘরে খাদ্যের অভাব থাকলেও , ঘরের ভেতর টি.ভি থেকে শুরু করে ডিভিডি প্লেয়ার সব রয়েছে ৷ তখন তাকে বলা হল , তোমার খাদ্যের অভাব , অথচ তোমার ঘরে এতসব কেন ? তখন সে উত্তরে বলেছিলো , আমি চাইলেই আমার পরিবারকে নিয়ে কোথাও যেতে পারবো না , অথচ এই ছোট বাক্সটার দৌলতে সারা পৃথিবীকে আমি এখানে বসেই দেখতে পাচ্ছি ৷ অর্থাৎ তার খাবারের চাহিদা মুখ্য অথচ মুখ্য নয় যেন ৷ এখানে একটা বিষয় আমরা বুঝতে পারলাম , দরিদ্রতা শুধুমাত্র একটি উপাদানের উপর দাঁড়িয়ে নেই ৷ পারিপার্শ্বিক অনেক কিছুর একটা যোগফলই হল দরিদ্রতা ৷

আর একটু অন্যভাবে বলতে গেলে ৷ আমরা জানি , দেশের উন্নয়নের জন্য শিক্ষার উন্নতি প্রয়োজন ৷ আর শিক্ষার উন্নতির জন্য প্রয়োজন শিক্ষাক্ষেত্রে আর্থিক বরাদ্দের পরিমান বাড়ানো ৷ কিন্তু বরাদ্দ করলেই যে শিক্ষার মান বাড়বে , তা নয় ৷ এখানেই অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় সবার থেকে একটু অন্যভাবে আরো গভীরে যাবার চেষ্টা করেছেন ৷ বরাদ্দ তো করতে হবে ৷ কিন্তু তার আগে প্রয়োজন শিক্ষার কোন কোন উপাদান বরাদ্দ করলে শিক্ষার মান বাড়বে ৷ এটা বের করার উপায় হল , ছাত্রদের দু’ভাগে ভাগ করে , তাদের মধ্যে একটা পক্ষকে শিক্ষার একটি উপাদান দিয়ে , আর একটি পক্ষকে সেই উপাদান থেকে বিরত রাখা ৷ সেখান থেকেই বেরিয়ে আসবে শিক্ষার নির্ধারিত সেই প্রয়োগমূলক উপাদানটি কতটা কার্যকর ৷ তারপর শিক্ষাক্ষেত্রে ছাত্রদের উপর সেই উপাদানটির প্রতি বিনিয়োগ বাড়ানো উচিত ৷ এভাবেই গবেষণার মধ্য দিয়ে তিনি গল্পের মতো করে তাঁর অর্থনৈতিক তত্ত্বের প্রতিষ্ঠা করেছেন ৷ এরকম অসংখ্য গল্পাকারে তাঁর তত্ত্বগুলোকে তিনি ‘poor economics’ বইয়ে লিপিবদ্ধ করেছেন ৷ যা তাঁকে নোবেলের মতো শ্রেষ্ঠ আন্তর্জাতিক পুরষ্কার এনে দিল ৷

তাঁর কর্মের পরিধি , ব্যাপ্তি ও সম্মান

  • ২০০৩ সালে ‘ আবদুল লতিফ পোভার্টি অ্যাকশান ল্যাব ‘ বা (J-PAL) গঠন করেন ৷ তিনি এই সংগঠনের ডিরেক্টরের ৷ যার মাধ্যমে সারা বিশ্বে ৪০০ জন অর্থনীতিবিদ নীরবে কাজ করে চলেছেন ৷
  • ২০০৪ এ আমেরিকান একাডেমি অফ আর্টস এন্ড সায়েন্সের ফেলো নির্বাচিত হন ৷
  • ২০০৯ এ অর্থনীতির সামাজিক বিজ্ঞান বিভাগে ইনফোসিস পুরস্কার পান ৷
  • ২০১৩ তে রাষ্ট্রপুঞ্জের ডেভলপমেন্ট এজেন্ডাকর্মসূচী সংক্রান্ত কমিটিতে প্রবেশ করেন ৷
  • ২০১৪ কিইল ইনস্টিটিউট ফর দ্য ওয়ার্ল্ড ইকনমি থেকে বার্নহার্ড—হামস পুরষ্কার পান ৷
  • বর্তমানে তিনি ফোর্ড ফাউন্ডেশনের অধ্যাপক হিসাবে ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি (MIT) – তে কর্মরত

সুতরাং অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায় এমন একজন মানুষ , যিনি তাঁর পড়াশুনোর বিষয়টাকে অনুভব করেছেন , তাঁর অন্তরের অন্তস্থল থেকে ৷ যে সাধারন মানুষের অভাব দরিদ্রতা তাঁকে ভাবিয়েছে , আজ বিশ্বজুড়ে তাঁর ভাবনায় কাজ করে চলেছেন তিনি এবং তাঁর টিম ৷ আমরা চাই অভিজিৎ বাবুর এই তত্ত্ব , এই প্রচেষ্টা এক নতুন পৃথিবীর জন্ম দিক ৷ এই এক বুক আশা নিয়েই , নোবেল জয়ী অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি রইলো অনেক শুভেচ্ছা , শুভকামনা এবং ভালোবাসা ৷ আপনি আমাদের গর্ব , বাঙালির গর্ব তথা ভারতের গর্ব ৷

লেখাটি ভালো লেগে থাকলে অবশই বন্ধুদের সাথে শেয়ার করো। এইপ্রকার লেখার আপডেট পেতে আমাদের ফেসবুক পেজটিকে লাইক করো।

This Article Is Written By

Mithun Roy
Writer - Contributor

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *